তারল্য সংকটে ধুঁকতে থাকা আরও তিন ব্যাংককে ২৬৫ কোটি টাকার সহায়তা দিল ‘সবল’ চার ব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে কোন ব্যাংককে কত টাকা দেওয়া হয়েছে, সেই তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
যে তিন ব্যাংক অর্থ পেয়েছে সেগুলো হল ন্যাশনাল, এক্সিম ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই ব্যাংকগুলো গ্রাহকদেরকে টাকা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। একাধিক এলাকায় টাকা না পেয়ে গ্রাহকরা বিক্ষোভ করেছেন, ব্যাংকারদেরকে আটকে রাখার ঘটনাও ঘটেছে। এই তিন ব্যাংককে টাকা দিয়েছে ডাচ বাংলা, সিটি, ইস্টার্ন ও পূবালী ব্যাংক। এই তিনটি ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি বরাবরই বেশ মজবুত। খবর বিডিনিউজের।
তারল্য ঘাটতি মেটাতে গত সপ্তাহে ‘দুর্বল’ সাত ব্যাংককে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার সহায়তা দেয় ১০ ব্যাংক। সেদিন কোন ব্যাংককে কত টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেই হিসাব প্রকাশ করা হয়েছিল। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ১৭টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে সভা করেন। সেই সভায় দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সহায়তা অব্যাহত রাখতে শক্তিশালী ব্যাংকগুলোকে অনুরোধ করেন তিনি।
ক্ষমতার পালাবদলের পর ইসলামী ধারার শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নগদ অর্থ দেওয়া বন্ধ করে দিলে ব্যাংকগুলোতে শুরু হয় তারল্য সংকট। পরিস্থিতি এমন হয় যে গ্রাহকরা ২০ হাজার টাকাই তুলতে পারছিলেন না। এ পরিস্থিতিতে গভর্নর সবল ব্যাংক থেকে দুর্বল ব্যাংকের নগদ টাকা ঋণ নেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেন। এরপর সবল ১০ ব্যাংক তারল্য সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে সম্মতি দেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, দুর্বলদের তারল্য সহায়তা অব্যাহত থাকবে। গভর্নর আমানতকারীদের সার্থ সবার আগে বিবেচনায় রেখেছেন। ধাপে ধাপে আরও টাকা দেওয়া হবে।