রবি মৌসুমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে মাঠে চাষযোগ্য শীতকালীন হাইব্রিড সবজি বীজ ও সার বিতরণ করা হচ্ছে। তাদের দেওয়া হচ্ছে নগদ অর্থ সহায়তাও। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে রবি মৌসুমে প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় আড়াই হাজার প্রান্তিক কৃষকের মাঝে নগদ অর্থ ও কৃষি উপকরণ বিতরণ করা শুরু হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ হল রুমে কৃষি উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে. এম. রফিকুল ইসলাম।
কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হাবিবুল্লাহর সভাপতিত্বে ও কৃষি সমপ্রসারণ অফিসার ইশতিয়াক আহমেদের সঞ্চালনায়
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তাহামিনা আরজু, উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা মরিয়ম আক্তার মুক্তা, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল ফারুক, শেখ সালাউদ্দিন, সঞ্জয় চৌধুরী, সীতাকুণ্ড বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল ইমরান। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উপ–সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহ্ আলম।
প্রত্যেক কৃষককে মরিচের ৫ গ্রাম বীজ, টমেটোর ৩ গ্রাম, লাউয়ের ৫ গ্রাম, ব্রুকলির ২ গ্রাম, বেগুনের ৫ গ্রাম, মিষ্টি কুমড়ার ১০ গ্রাম, ফুলকপির ৫ গ্রাম ও বাঁধাকপির ৫ গ্রাম হাইব্রিড বীজ ও নগদ অর্থ ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, ২০২৪–২০২৫ অর্থবছরে খরিপ–২ মৌসুমী অতিবৃষ্টি, বন্যাও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে মাঠে চাষযোগ্য বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের শীতকালীন শাকসবজি বীজ, সার ও নগদ অর্থ সহায়তা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে. এম. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ ও নগদ অর্থ বিতরণে প্রান্তিক কৃষক পরিবার অনেক উপকৃত হবে। এছাড়া রবি মৌসুমে সরিষা, চীনা বাদাম, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, খেসারি, ফেলন ডাল আবাদের জন্য ৬৩০ জন কৃষককে বীজ ও রাসায়নিক সার প্রদান করা হচ্ছে।
রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি : রাঙ্গুনিয়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে মাঠে চাষযোগ্য শীতকালীন হাইব্রিড সবজি বীজ, সার ও অর্থ সহায়তা এবং রবি মৌসুমের বিভিন্ন ফসলের বীজ ও সার বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। উপজেলা কৃষি অফিসের হলরুমে সোমবার দুপুরে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন। অনুষ্ঠানে প্রতিজন কৃষককে টমেটো, বেগুন, মরিচ, লাউ, মিস্টি কুমড়া, ব্রকলি, ফুলকপি ও বাঁধাকপি বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এক হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেয়া হয়। এভাবে তিন হাজার কৃষককে এদিন সহায়তা দেয়া হয়েছে। এদিকে একইদিন উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘ছাত্র শিক্ষক কৃষক ভাই, ইঁদুর দমনে সহযোগিতা চাই’ এই প্রতিপাদ্যে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযানের উদ্বোধন করা হয়।