জাপান–বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেবিসিসিআই) ১৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা গত ১৭ নভেম্বর ঢাকায় একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। বোর্ড মেম্বার, চেম্বারের সাধারণ সদস্য এবং বিভিন্ন সংস্থার বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দসহ প্রায় ১৬০ জন সদস্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সভাটি পরিচালনা করেন জেবিসিসিআই–এর নির্বাহী পরিচালক মো. এমরান। জেবিসিসিআই সভাপতি সুগাওরা মানাবু অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। তিনি জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সামপ্রতিক সময়ের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে জেবিসিসিআই–এর ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
জেবিসিসিআই–এর সেক্রেটারি জেনারেল মো. আনোয়ার শাহিদ, অক্টোবর ২০২৩ থেকে অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের বিশদ বিবরণ দেন। কোষাধ্যক্ষ কেনজি কিমুরা বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এবং আগামী ২০২৪–২০২৫ অর্থবছরের জন্য নিরীক্ষক হিসাবে ‘শফিক মিজান রহমান ও অগাস্টিন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস’ নিয়োগের প্রস্তাব দেন।
এই বার্ষিক সাধারণ সভায় নতুন সদস্যদের স্বাগত জানানো হয় এবং নবনির্বাচিত বোর্ড অব ডিরেক্টরদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।
নতুন বোর্ড সদস্যদেরা হলেন : তারেক রফি ভূঁইয়া (জুন) – সভাপতি, হিরোআকি ওউরা– সহ সভাপতি, মো. আনোয়ার শাহিদ–সহ সভাপতি, মিস মারিয়া হাওলাদার– সেক্রেটারি জেনারেল, ইউজি অ্যান্দো –যুগ্ম সেক্রেটারি জেনারেল, কেনজি কিমুরা– কোষাধ্যক্ষ, মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার– যৌথ কোষাধ্যক্ষ, মানাবু সুগাওরা– পরিচালক, মোহাম্মদ সোহেল –পরিচালক, মো. শরিফুল আলম– পরিচালক, নাঈমুর রহমান– পরিচালক, ম্যাডাম সাওরি ফুজিমোতো–পরিচালক, এ.কে.এম. আহমেদুল ইসলাম বাবু–পরিচালক, হিরোশি উয়েগাকি–পরিচালক, রবিউল আলম –পরিচালক, আতসুশি হিরাকুরি– পরিচালক, আসিফ এ. চৌধুরী– পরামর্শক।
বার্ষিক সাধারণ সভাটি জেবিসিসিআই–এর ২০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উদযাপন এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ব্যবসায়িক সমপ্রদায়ের প্রতি দুই দশকের অবদানকে সম্মান জানানো হয়। প্রতিষ্ঠাতা নেতৃবৃন্দ, যার মধ্যে আছেন মতিউর রহমান, আবদুল হক এবং ডা. এ.কে.এম. মওজেম হোসেন, যারা ২০০৪ সালে জেবিসিসিআই–এর প্রতিষ্ঠার পেছনে তাদের প্রচেষ্টা স্মরণ এবং ভবিষ্যতে এর আরও উন্নতি কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি প্রধান অতিথি ছিলেন। তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে জেবিসিসিআই–এর দীর্ঘস্থায়ী প্রচেষ্টার জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সেতু হিসেবে জেবিসিসিআই–এর ভূমিকার গুরুত্ব আলোকপাত করেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এর অবদানের উপর জোর দেন। তিনি জাপান–বাংলাদেশ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ)-এর গুরুত্ব উল্লেখ করেন, যেখানে বাংলাদেশের সামপ্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও আলোচনা সক্রিয়ভাবে অগ্রসর হচ্ছে। ইপিএ সম্পর্কিত জেবিসিসিআই–এর সামপ্রতিক সেমিনারটি আলোচনার গতিশীলতা বৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে স্বীকৃতি পায়।
ইওয়ামা আরও সহযোগিতার আহ্বান জানান, বাংলাদেশের একটি অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরির জন্য। তিনি জাপান এবং অন্যান্য দেশ থেকে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বাড়ানোর উপর জোর দেন। তিনি জেবিসিসিআই–এর উদ্যোগের প্রতি দূতাবাসের চলমান সমর্থন নিশ্চিত করেন।
সর্বশেষে, জেবিসিসিআই–এর সহ–সভাপতি এম. জালালুল হাই উপস্থিত অতিথি ও সদস্যদের প্রতি তাদের অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।