কেইপিজেডের প্রধান সড়ক দখল করে মহড়া দিয়েছে বন্য হাতির দল। ১ ঘণ্টা ধরে আটকে ছিল শ্রমিকবাহী যানবাহন। এ সময় কারখানায় কর্মরত ৩০ হাজার শ্রমিকের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেককে ভয়ে চিৎকার করতে দেখা গেছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কারখানা ছুটির পর কেইপিজেডে অবস্থানরত হাতির দল সড়ক দখল করে মহড়া দেয়। এ ঘটনার পর কেইপিজেডে কর্মরতদের মাঝে আতঙ্ক বেড়ে গেছে। হাতিগুলো এই শিল্পজোনে অবস্থান নিয়ে নানান স্থাপনা, ফসল ও কারখানার সবুজ বনায়নের ব্যাপক ক্ষতি করছে বলে জানা যায়। এছাড়া সকাল–সন্ধ্যা সড়কে দাপিয়ে বেড়ানো এসব হাতির কারণে নারী শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। কেইপিজেডে কর্মরত নারী শ্রমিক শাহীন বলেন, সোমবার (গতকাল) কারখানা ছুটির পর টমটম গাড়িতে করে বাড়ি যাওয়ার সময় সড়কে হাতিগুলো দাঁড়িয়ে আমাদের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয়। এসব দেখে আমরা ভয়ে চিৎকার করি। রাতের অন্ধকারে হাতিগুলো যদি আমাদের আক্রমণ করতো তাহলে আমাদের কী হত। আমরা এখন প্রতিনিয়ত হাতির ভয় নিয়ে অফিসে যাচ্ছি।
স্থানীয়রা জানায়, দেয়াং পাহাড়ে অবস্থান নেওয়া হাতিগুলো লোকালয়ে এসে স্থানীয়দের বসত বাড়িতে হামলা ছাড়াও ফসল, ঘরবসতির ক্ষতি সাধন করে যাচ্ছে। হাতিগুলো সরাতে প্রশাসন বা বন বিভাগ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। হাতিগুলো সরানোর উদ্যোগ না দিলে যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
কেইপিজেডের উপ ব্যবস্থাপক মো. মুশফিকুর রহমান জানান, বর্তমানে সকাল–সন্ধ্যা হাতিগুলোর আতঙ্কে দিন কাটে ৩০ হাজার শ্রমিকের। ইতোমধ্যে হাতির আক্রমণে আমাদের এক বিদেশি বিনিয়োগকারী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আমাদের বিনিয়োগ ব্যবস্পনায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং শ্রমিকদের যদি আমরা সুরক্ষা দিতে না পারি তাহলে আমাদের শিল্প ব্যবস্থার অগ্রগতি ভবিষ্যতে হুমকিতে পড়ে যাবে।