পৃথিবীর ইতিহাসে ব্যাংক লুট নতুন কিছু নয়। বাংলায় কিংবা বৃটিশ ভারতের প্রথম বেসরকারী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর আস্থা ভাজন প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের হাত ধরে। এই নব প্রতিষ্ঠিত প্রথম ব্যাংটিও আমানত লুটের শিকার হয়েছিল। অর্থাৎ আমানত লুটের এই প্রচলন কোম্পানী আমলে বাংলার প্রথম বেসরকারী ব্যাংক প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই। ভারতীয় উপমহাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম ব্যাংকটির নাম ছিল ‘ইউনিয়ন ব্যাংক’। এ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ছিল প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। এই ব্যাংক ক্রমাগত অলাভজনক খাতে ঋণ দিয়ে ১৮৪৭ সালে দেউলিয়া হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে এখনও কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হয়নি। তবে দীর্ঘদিন ব্যাংকিং সেক্টর হয় রুগ্ণ ও জরাজীর্ণ। দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে খেলাপী ঋণের পরিমাণ ছড়িয়েছে ২ লক্ষ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা যা ব্যাংকিং সেক্টরে বিতরণকৃত মোট ঋণের সাড়ে ১২ শতাংশের বেশি। দেশের মোট ৫৪টি ব্যাংকের মধ্যে ৩৮টি ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল হেলথ দুর্বল, যার মধ্যে ১২টির অবস্থা খুবই খারাপ। কিন্তু ব্যাংকিং সেক্টরে সকল ব্যাংকের অভিভাবক বা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’– সে সময় কি করেছিল? ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’– এর বিশাল বিশাল কর্মকর্তা, নীতিনির্ধারক তাদের দায়িত্ব কি যথাযথ পালন করেনি? বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য থেকে পাওয়া সূত্রে জানা যায়– ২০২৩–২৪ আট বছরে বাংলাদেশের জিডিপি এর আকার ছিল ৪৫৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার বা ৫৫ লক্ষ কোটি টাকা। জিডিপি এর আকার অনুসারে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫ তম দেশ হিসেবে বিবেচিত। অথচ এ দেশে ব্যাংকের সংখ্যা ৫৪ টি। অন্যদিকে বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় ২২ গুণ বড় ইন্ডিয়া বা ভারতে ব্যাংকের সংখ্যা ৩৪ টি। অর্থনীতির বিশালতার দিক থেকে ভারত বাংলাদেশের তুলনায় ৯ গুণ বড়। অন্যদিকে ব্যাংকের সংখ্যা পাকিস্তানে ২৯টি, নেপালে ২০টি এবং শ্রীলংকায় ১৫টি। জিডিপি এর বিবেচনায় বাংলাদেশের অর্থনীতির কাছাকাছি এরূপ দুইটি দেশ ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়া মোট ব্যাংকের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৪ ও ৩০টি। অর্থাৎ জিডিপি বা অর্থনীতি আকারের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাংকের পরিমাণ ছিল বেশি। একই সাথে ব্যাংক দখল ও ঋণ নেয়ার নামে বাংলাদেশের ব্যাংক খাত ছিল অরাজকতার স্বর্গ রাজ্য। ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে মোট ডিপোজিট ছিল ১৭ লক্ষ ৩১ হাজার কোটি টাকা। ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে মোট বিতরণকৃত লোনের পরিমাণ ছিল ১৬ লক্ষ ৮৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। অন্যদিকে একই সময়ে খেলাপী ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ২ লক্ষ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ১২.৫৬ শতাংশ। তিন মাস আগে মার্চ প্রান্তিকে ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১৬ লক্ষ ৪০ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে খেলাপী ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যা ঐ সময়ের মোট বিতরণ করা ঋণের ১১.১১ শতাংশ। সেই হিসেবে ৩ মাসের ব্যবধানে খেলাপী ঋণ বেড়েছে ২৯ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। অথচ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ কর্তৃক প্রদত্ত ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের প্রধান শর্ত ছিল ব্যাংকের খেলাপী ঋণের হার কমানো। ২০২৪ সালের মধ্যে ব্যাংক খাতের খেলাপী ঋণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু খেলাপী ঋণ না কমে বরং বেড়ে তা হয়েছে ১২.৫৩ শতাংশে। প্রকৃতপক্ষে খেলাপী ঋণের মাত্রা আরো বেশি হতে পারে। এসব ঋণগুলোর বেশির ভাগই নেয়া হয়েছে বাংলাদেশে ব্যাংকিং সেক্টরের নিয়ন্ত্রক ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ এর বিভিন্ন নীতিমালা সেক্টরের নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন নীতিমালা ও আইন ভঙ্গ করে। ঋণ গ্রহণকারীরা ব্যাংক দখল করে কাগজপত্র জাল– জালিয়াতি করে এবং নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান বানিয়ে ঐ প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে ঋণ মঞ্জুর করেছে। অতএব বলা যায়, বিগত ১৫ বছরে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আমানত সঙ্গবদ্ধভাবে লুট করা হয়েছে। এ ব্যাংকগুলো লুট হওয়ায় পিছনে রয়েছে বড় বড় ব্যবসায়ী যারা রাজনৈতিকভাবে সংশ্লিষ্ট। এসব ব্যবসায়ীরা নিজের নামে অথবা প্রতিষ্ঠানের নামে অথবা নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান তৈরী করে ঐ প্রতিষ্ঠানের নামে অথবা নিজদের আত্মীয় স্বজন এমন কি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোন হিসেবে নেয়া হয়েছে। তাদের এ কাজে সাহায্য ও সহযোগিতা করেছে ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ। এজন্য প্রভাবশালীরা ব্যাংকের শেয়ার ক্রয় করে নিজদের আত্মীয় স্বজনকে ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন। এই পথ অবলম্বন করার মৌলিক উদ্দেশ্য হচ্ছে, যাতে করে এরূপ অনিয়মের গোপনীয়তা ঠেকিয়ে রাখা যায়। আর এ কাজে নিরব থেকেছে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের অভিভাবক ও নিয়ন্ত্রক ব্যাংক– ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’। গত ১৫ বছরে ব্যাংকসমূহের ঋণ খেলাপী, লুটপাট ইত্যাদি বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের পর ব্যাংকিং খাতের বর্তমান দৃশ্য প্রকাশিত হলে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে– এতগুলো বছর ধরে ঘটতে থাকা এতগুলো ঘটনার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা কী ছিল?
বাংলাদেশের ইতিহাসে ব্যাংক লুটপাট এবং ঋণ কেলেঙ্কারীর ঘটনা নতুন নয়। এর মধ্যে ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক দখল হয়ে যাওয়ায় নজির বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। সে বছর ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থা ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানকে বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে জোরপূর্বক পূর্বে লিখিত পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে ব্যাংকটির প্রায় ৮২ শতাংশ শেয়ার দখলে নেয় একটি গ্রুপ। এরপর বোর্ড মেম্বার ও কর্মকর্তাদের জায়গায় নিজেদের লোক বসিয়ে দেয়। একই বছর ২৩ অক্টোবর সোস্যাল ইসলামী ব্যাংককেও দখলে নেয়। দখল করার আগে ১৯টি কোম্পানির মাধ্যমে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের প্রায় ৫০ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয়। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে ৫৪ টি ব্যাংক কাজ করছিল তার মধ্যে ৬টির দখল নেয় ঐ গ্রুপ। এ ৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৫টি ছিল ইসলামী শরীয়হা ব্যাংক। বাংলাদেশে সংখ্যাধিক্য জনগণ মুসলিম হওয়ার কারণে এবং সহজ সরল জনগণ ধর্মপ্রিয় হওয়ার কারণে সেই সুযোগ গ্রহণ করে এই গ্রুপটি। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কাজ করা মোট শরীয়হা ব্যাংকের দুই তৃতীয়াংশ ছিল এ গ্রপের অধীনে। ব্যাংক দখল করার মত ঘটনা ঘটার পরও ব্যাংকিং খাতের অভিভাবক ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ ছিল নিরব। বলা যায়, এ ব্যাপারে তেমন কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়নি।
ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুসারে, একক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে একটি ব্যাংক তার মূলধনের সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ ফান্ডেড এবং ১০ শতাংশ নন ফান্ডেড ঋণ দিতে পারে। আর গ্রুপ বলতে কোনো ঋণগ্রহীতা বা তার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানিকে বোঝানো হয়। ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের মূলধন ছিল ১০ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। এর মানে ফান্ডেড এবং নন ফান্ডেড মিলে একটি গ্রুপকে এই ব্যাংক দিতে পারবে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা। অথচ এ নিয়ম মানা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকও এ নিয়ম মানার জন্য চাপ প্রয়োগ করেনি। তাছাড়া ঐ গ্রুপ যখন ধীরে ধীরে শেয়ার ক্রয় ক্রমাগত বাড়াচ্ছিল এবং নিয়মের ব্যর্থতায় ঘটাচ্ছিল তখনও বাংলাদেশ ব্যাংক ছিল নিরব। এ সময় শেয়ার ক্রয়ের নিয়মের ব্যাপারে যদি বাংলাদেশ ব্যাংক আপত্তি করতো তবো এই গ্রুপের পক্ষে এত বেশি শেয়ার ক্রয় করা সম্ভব হতো না। বাস্তবে এ পরিস্থিতিও সৃষ্টি হতো না। তাছাড়া শেয়ার ক্রয়ে ব্যয়িত অর্থের উৎস জান বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যবিধির মধ্যে পড়ে। তাও বাংলাদেশ ব্যাংক করেনি। শেয়ার বাজারে অনিয়মের চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এই গ্রুপের দৌরাত্মকে দমিয়ে দিতে পারতো। বাংলাদেশ ব্যাংক তাও করেনি। দীর্ঘদিন ধরে সরকার এই গ্রুপের ব্যাংকগুলো নিয়ন্ত্রণের সুযোগ খুঁজছিল। রাজনৈতিক প্রভাবকে হস্তগত করে, বাংলাদেশ ব্যাংকের বড় বড় কর্মকর্তাদের নিরবতার কারণে ও রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় দেশের ইতিহাসের অন্যতম আলোড়ন সৃষ্টিকারী এ ঘটনা ঘটান।
অন্যদিকে আইএফআইসি ব্যাংককে সালমান এফ. রহমান ও তার ছেলের ২ শতাংশ করে মোট ৪ শতাংশ শেয়ার থাকার পরও ব্যাংটি কার্যকর নিয়ন্ত্রক ছিলেন তিনি। সালমান এফ. রহমান ছিলেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান এবং তার ছেলে ছিল ব্যাংকটির ভাইস চেয়ারম্যান। সালমান এফ. রহমান যেহেতু প্রধান মন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ছিলেন সেহেতু ব্যাংকে সরকারের শেয়ার ৩২.৭৫ শতাংশ থাকা সত্ত্বেও সালমান এফ. রহমান ছিলেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান। যার ফলে বেক্সিমকো গ্রুপের নামে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছিল। অথচ ২০০৭ সালে এক গোপনীয় প্রতিবেদনে (আমেরিকার এমবেসি কর্তৃক) তাকে সবচেয়ে বড় ঋণ খেলাপী হিসেবে দেখানো হয়েছিল। এসব কার্যকলাপের কারণে তাকে অনেক আগেই বাংলাদেশ ব্যাংক আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা দরকার ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক সেই দায়িত্ব পালন করেনি। অপরদিকে জাতীয় পার্টির রাজনীতিবিদ আবদুল হাই বাচ্চুকে ২০০৯ সালে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকাকালীন উক্ত ব্যাংক থেকে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। এছাড়া হলমার্ক কেলেঙ্কারীও দেশজুড়ে আলোড়ন ফেলে। এর ফলে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়। সে সময় রাষ্ট্রায়াত্ত সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যায়। এ দুইটি ঘটনায় দেখা যায়। ঋণ প্রদানের সময় যে কাগজ পত্র জমা দেয়া হয়েছিল সেগুলো ছিল ভূয়া। আর এ কাজে সহায়তা করেছিল ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ। অথচ এসব ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম প্রতিফলিত হচ্ছে কিনা তা বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক ছিল নীরব বা লোক দেখানো একশনে। বলা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেনি। এমন কি অনিয়মে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টাও করেনি। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক এর কর্মকর্তাদের ছত্রছায়ায় বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে এত অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের বেশিরভাগ বড় বড় কর্মকর্তারা এখনো স্বপদে বহাল আছেন। এমন কি পদোন্নতিও পেয়েছেন শূন্য পদে। এসব কর্মকর্তাদের সাহায্য সহযোগিতায় দেশের ব্যাংকিং খাতে হরিলুট হয়েছে। তাই এদেরকে নিয়েই বাংলাদেশ ব্যাংকের রির্ফম কার্যক্রম আদৌ কি সম্ভব হবে? সবদিকে সংস্কারের বাতাস পাওয়া যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের যে সব কর্মকর্তা এসব অনিয়মের সাথে জড়িত ছিল তাদের ব্যাপারে সংস্কার হচ্ছে না। এ সংস্কার খুবই জরুরি।
লেখক : প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট, গবেষক; পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, ইউএসটিসি