সরকারি প্রাথমিক স্কুলে সহকারী শিক্ষকরা দশম গ্রেডে বেতন কাঠামোর যে দাবি তুলেছেন সেটিকে অযৌক্তিক মনে করছেন না প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তবে এই মুহূর্তে এই দাবি পূরণ করা বাস্তবসম্মত না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। গতকাল রোববার সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. জাহাঙ্গীর আলম খানের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টির উল্লেখ আছে। খবর বিডিনিউজের।
এতে বলা হয়, উপদেষ্টা বলেছেন–সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে আছেন। তারা দশম গ্রেড চাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষকরা এখনও দশম গ্রেড পাননি। সহকারী শিক্ষকদের জন্য এই মুহূর্তে দশম গ্রেড বাস্তবসম্মত না, তবে প্রস্তাবটা অযৌক্তিক নয়। প্রধান শিক্ষকদের গ্রেড ১১তম। সহকারী শিক্ষকরা পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক হন। তখন গ্রেড পরিবর্তন হবে। আশা করি একদিন পাবে। এ মুহূর্তে বাস্তবসম্মত নয়। সহকারী প্রধান শিক্ষকের ৯ হাজার ৫৭২টি পদ তৈরি করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়া গেছে বলেও জানান বিধান রঞ্জন।
অপর এক প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, বিগত কয়েক বছর থেকে পহেলা জানুয়ারি বই উৎসব করে আসছে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি জানুয়ারিতে বই দেওয়ার। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাঠ্যপুস্তকে কিছুটা পরিমার্জন হয়েছে। প্রাথমিকের বই ছাপানোর ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। আশা করি জানুয়ারিতে প্রাথমিকের বই পৌঁছে দিতে পারব।
এর আগে মতবিনিময় সভায় বিধান রঞ্জন বলেন, আমাদের দেশে যে প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে উঠেছে, তারা যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য ও দক্ষ। জুলাই–আগস্টের টালমাটাল অবস্থায়ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের ছন্দে পরিবর্তন হয়নি, ভেঙে পড়েনি। সরকারের সংস্কার ও পুনর্গঠন কাজে তারা যথাযথ দায়িত্ব পালন করবেন। জনগণ ট্যাক্স দেয়, তারা নিরাপত্তা চায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা প্রদানে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা জটিল এবং সেটির ‘ধীরে ধীরে উন্নতি ঘটবে’ বলেও উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।