গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে সঠিকভাবে উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রশিবির সম্পর্কে জানতে পারেনি। দেশব্যাপী একধরনের ভয়ের সংস্কৃতি ছিল। আমরা কারো ব্যক্তি আদর্শ নিয়ে কাজ করি না। আমরা আল কোরআনের দেখানো পথে মানুষকে আহ্বান করি। তাই আদর্শিকভাবে কেউ আমাদেরকে মোকাবেলা করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
প্রায় একযুগ পর প্রকাশ্যে ২০২৩–২৪ সেশনের নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রশিবির কর্তৃক আয়োজিত ‘নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন’ প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেইট সংলগ্ন একটি কনভেনশন হলে এ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।
চবি শাখা ছাত্রশিবিরের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি শিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইব্রাহিম। বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি নাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান আলোচক ছিলেন চবির ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. কাজী মো. বরকত আলী। বিশেষ আলোচক ছিলেন চবির ফাইন্যান্স বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হাসমত আলী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সম্পাদক ডা. ওসামা রায়হান। শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে ভূমিকা রাখে। আমাদেরকে এমন ক্যারিয়ার পছন্দ করতে হবে যেন দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ হয়। আমরা কী করছি, কী বলছি আপনারা একটু শুনুন। গালি আপনি দিতেই পারেন। এটা আপনার অধিকার, আমরা এতে বাধা দেবো না। তবে আমাদের একটাই অনুরোধ আমাদের কাজেও আপনারা বাধা দিবেন না। আমাদের কাজকর্মেই বুঝতে পারবেন, আমরা কেমন মানুষ। আপনারাই বিচার করতে পারবেন যে আমরা কোনো সন্ত্রাসী দল কি–না। তিনি বলেন, বর্তমানে ছাত্র জনতার বিপ্লবের সময়কার খুনিদেরকে অর্থের বিনিময়ে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন সেক্টরে ফ্যাসিবাদের দোসরদেরকে তাদের পদে বহাল রাখা হয়েছে। তাদেরকে বাদ দেওয়া ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সকল আবর্জনা দূর করে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে।