জিয়া স্মৃতি জাদুঘর সবার জন্য উন্মুক্ত রাখার ঘোষণা

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৭ নভেম্বর, ২০২৪ at ৮:২২ পূর্বাহ্ণ

শহীদ জিয়া স্মৃতি জাদুঘর সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, দেশিবিদেশি ষড়যন্ত্রে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে শাহাদাত বরণ করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এই সার্কিট হাউজে তার রক্ত মিশে আছে। সার্কিট হাউজ শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত স্থান। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘদিন সার্কিট হাউজে স্থাপিত জিয়া স্মৃতি জাদুঘর বন্ধ করে রেখেছিল। জাদুঘর থেকে তার নাম মুছে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ সবার কাছ থেকে জিয়াকে আড়াল করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি। কারণ শহীদ জিয়ার নাম বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে। জিয়ার নাম লেখা যায়, মুছা যায় না। শহীদ জিয়া আমাদের আবেগের জায়গা।

তিনি গতকাল শনিবার দুপুরে নগরের কাজীর দেউড়ি জিয়া স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় যুবদলের দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এতিম শিশুদের অংশগ্রহণে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিতে এতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন।

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, জিয়াউর রহমান কালুঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বিপ্লব উদ্যান থেকে ‘উই রিভোল্ট’ বলে বিদ্রোহ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেন। এ সময় জিয়াউর রহমানের ছবি পাহারা দিতে হয় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের মঙ্গল যারা চায়নি তারাই জিয়াউর রহমানকে সেদিন চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে নির্মমভাবে খুন করেছে। জিয়ার জীবনের শুরুই এ চট্টগ্রামে এবং শেষও এ চট্টগ্রামে।

এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, যুবদল নেতা মাহফুজুর রহমান, ফেরদৌস আহমেদ মুন্না, মনজুরুল আজিম সুমন, জাহিদ হাসান, মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, সাইফুর রহমান শপথ, আমিনুল ইসলাম তৌহিদ, হাসান মাহমুদ জসিম ও এস এ মুরাদ চৌধুরী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রিম্যাচিউর হিরো
পরবর্তী নিবন্ধহজের টাকা রিফান্ডের নামে প্রতারণা, সতর্ক থাকতে বললো ধর্ম মন্ত্রণালয়