কাপ্তাইয়ের নীল জলে প্রথম সাঁতার প্রতিযোগিতা

সাড়ে ১৩ কিমি সাঁতরে চ্যাম্পিয়ন বরগুনার সাইফুল

রাঙামাটি প্রতিনিধি | রবিবার , ১৭ নভেম্বর, ২০২৪ at ৮:০১ পূর্বাহ্ণ

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘সুবলং চ্যানেল সুইমিং’ এর সাঁতার প্রতিযোগিতা। গতকাল শনিবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় বরকল উপজেলার সুবলং বাজার থেকে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে শহরের শহীদ মিনার ঘাটে এসে শেষ হয়।

১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার দূরত্বের এই সাঁতার প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩০ জন সাঁতারু অংশ নেন। পরে বিকেলে রাঙামাটি শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সাঁতারে অংশ নেওয়া সকল প্রতিযোগী ও বিজয়ীদের মাঝে সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার এসএম ফরহাদ হেসেন, সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরিন সুলতানা প্রমুখ।

সুবলং চ্যানেল সুইমিং প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন বরগুনা জেলার সাইফুল ইসলাম রাসেল, দ্বিতীয় হন সাতক্ষীরা জেলার তৌফিকুজ্জামান ও তৃতীয় হয়েছেন বরগুনা জেলার এসএম ফেরদৌস।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা সাঁতারু রাজেশ চাকমা বলেন, রাঙামাটিতে খোলা লেক থাকায় সাঁতার করা খুবই সুবিধাজনক। ঢাকা শহরে যে নদী, পুকুর রয়েছে সেগুলোতে সাঁতার কাটা যায় না বা সাঁতারের জন্য উপযোগী নয়। ছোটবেলায় এই কাপ্তাই হ্রদে অনেক সাঁতার কেটেছি। পানির প্রতি যে আমাদের একটা ভয় কাজ করে; এটা যদি কাটিয়ে উঠতে হলে অবশ্যই সাঁতারের প্রয়োজুনীয়তা রয়েছে। এখানে ক্রীড়ার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ততা রয়েছে তারা যদি এ ধরনের ইভেন্ট আয়োজন করে; তাহলে এই এলাকার মানুষের পানির প্রতি যে ভয় সেটা কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং আরও অনেক সাঁতারু গড়ে উঠবে।

প্রথম স্থান অর্জন করা সাইফুল ইসলাম রাসেল বলেন, আমি বাংলা চ্যানেল সাতবার পাড়ি দিয়েছি। সেই সঙ্গে থাইল্যান্ডেও বিভিন্ন সাঁতার ইভেন্টেও অংশ নিয়েছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমার এই কাপ্তাই লেকে সাঁতার করা। এই এলাকার স্থানীয় মানুষেরা সাঁতার কাটতে ও গোসল করতে খুব ভয় পায়, সেই ভয়কে কাটাতে জেলা প্রশাসন যে উদ্যোগ নিয়েছে এটা খুব ভালো উদ্যোগ। যদি আমরা সাঁতারের মাধ্যমে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পারি এবং দেশের বাইরে মানুষ এখানে আসে তাহলে আমাদের পর্যটনশিল্পে যেমন প্রভাব ফেলবে, তেমনি এই এলাকার স্থানীয় মানুষের পানি প্রতি যে ভয় সেটাও কমে যাবে।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, আমাদের কাপ্তাই লেকে সুবলং চ্যানেলের নীল জলরাশি সবাইকে আর্কষণ করে। কাপ্তাই লেকে এত সুন্দর চ্যানেল আছে, আমাদের অথচ এ ধরনের সাঁতার প্রতিযোগিতার আগে হয়নি। এবারে প্রথম আমরা সাঁতারুদের উৎসাহ করার জন্য সারাদেশে যত সাঁতার রয়েছে তাদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জোগানোর জন্য এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। প্রতিযোগিতায় ৩০ জন সাঁতারু অত্যন্ত সফতার সঙ্গে তাদের প্রতিযোগিতা সম্পূর্ণ করেছে। ভবিষ্যতেও আমাদের এ ধরনের প্রতিযোগিতা অব্যাহতু থাকবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে বড় বিনিয়োগ করতে চায় সিঙ্গাপুর
পরবর্তী নিবন্ধডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় সময় বাড়ল ৩০ মিনিট