জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে বৈশ্বিক প্রতিবাদের অংশ হিসেবে কক্সবাজারের পেকুয়ায় সাইকেল র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০ টায় সাইকেল র্যালি শুরু হয়ে পেকুয়া বাজার থেকে উপজেলা গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়।
পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে র্যালি সমাবেশে সভাপতিত্বে করেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নজরুল জাফর।
পরিবেশ কর্মী দেলওয়ার হোসাইনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) দূর্জয় বিশ্বাস, পেকুয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম আবদুল্লাহ আনসারী, ইউথ এ্যাকশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সাংবাদিক মুসলিম আজাদ, পরিবেশ কর্মী সাংবাদিক জালাল উদ্দীন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র সমন্বয়ক প্রতিনিধি জিহাদুল ইসলাম জিহাদ, ফাঁশিয়াখালী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী শাহাবুদ্দিন, মগনামা শাহ রশিদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ, পেকুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাফি প্রমুখ। এতে বক্তারা বলেন, বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত রাষ্ট্রগুলি জলাবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতিনিয়ন ঝুঁকির মধ্যে পতিত হচ্ছে। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়বযোগ্য জ্বালানিতে অর্থ বিনিয়োগেরও আহবান জানান বক্তারা। অন্যতায় বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রাণীকুল বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠবে। বক্তার আরও বলেন, বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা পরিবেশের ক্ষতি ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের ভয়ংকর ঝুঁকিপূর্ণ। ইতিমধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি হয়ে আবহাওয়া চরমনআকার ধারণ করেছে এতে জীববৈচিত্র্য ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। অনতিবিলম্বে উন্নত রাষ্ট্রগুলো তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতির অর্থ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জনসংখ্যার ক্রমহারে বন্টন করার দাবি জানান পরিবেশবাদীরা। এসময় র্যালি ও সমাবেশে উপস্থিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ সচেতন মহলকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।