রাউজান উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ২০২৪–২৫ অর্থ বছরে খরিপ–২ মৌসুমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও কৃষাণীদের মাঝে বীজ সার বিতরণ করা হয়েছে। গত বুধবার রবি মৌসুমে চাষাবাদের জন্য প্রথম প্রণোদনায় তিন হাজার ৭ শত জন কৃষক কৃষাণীকে বীজ সার দেয়া হয়। বিতরণ করা উপকরণের মধ্যে রয়েছে উফশী জাতের ২০ প্রকার শাক–সবজির বীজ ও নানা প্রকার সার। সাথে দেয়া হয়েছে প্রতিজনকে বিকাশের মাধ্যমে নগদ ১ হাজার টাকা করে।
কর্মসূচির দ্বিতীয় দফায় ৩ হাজার জন কৃষক কৃষাণীদের মাঝে হাইব্রিড জাতের শাক সবজির বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার ও বিকাশের মাধ্যমে ১ হাজার টাকা করে নগদ টাকা বিতরণ করা হয়। এছাড়াও ৬ শত ৪০ জন কৃষককে রবি মৌসুমে প্রণোদনা হিসাবে বিতরণ করা হয় গম, সরিষা, চিনা বাদাম, সূর্যমুখী, শীত কালিন পেয়াজ, মুগ ও ফেলন বীজ। বিনামূল্যে দেয়া এই কৃষি উপকরণের সাথে অনেকেই পেয়েছেন ইঁদুর নিধনের ফাদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি কর্মকর্তা মাসুম কবির। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অগংজ্যাই মারমা। তিনি বলেন, সরকার কর্তৃক প্রণোদনা বাবদ নগদ অর্থ, শীতকালীন শাক সবজির বীজ, সার দিয়েছে। তা যথাযথভাবে উৎপাদন করে কৃষি অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে হবে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সনজিব কুমার সুশীল বলেন, সারা দেশে কৃষকের প্রায় ২০% ফসল নষ্ট করে ইঁদুর। রাউজানে কৃষকের ফসল বাঁচাতে কৃষি অফিস ইঁদুর মারার ফাঁদ বিতরণ করার মাধ্যমে কৃষকদের ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে চান।