রাউজান পৌরসদরের ফকিরহাটের পাশে ভরাট হয়ে যাওয়া কাঁশখালী খাল দখল করে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশীল অবকাঠামো নির্মাণ করেছিলেন। গতকাল স্থানীয় জনতা দলবদ্ধ হয়ে এসব অবকাঠামো ভেঙে দিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ সংস্কারের অভাবে খালটি ভরাট হয়ে গেছে। এই খালটি হয়ে আগে বর্ষায় পাহাড় থেকে নেমে আসা পানি নিচের দিকে নেমে যেত। গত প্রায় দেড় দশক ধরে খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় সুযোগ নিয়েছে ভূমি দস্যুরা। তারা জাল দলিল সৃষ্টি করে খালে অবৈধভাবে অবকাঠামো গড়ে তোলে। স্থানীয়দের দাবি খালে অবকাঠামো নির্মাণ করায় বর্ষাকালে পাহাড়ি ঢলের পানি নামতে বাধাগ্রস্ত হবে। পৌরসভাসহ ডাবুয়া ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়বে। ভরাট হওয়া খালটি দখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন। প্রশাসন কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় তাদের খালের জায়গা থেকে নির্মিত আবকাঠামো ভেঙে ফেলছে।
পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রেজাউল রহিম আজম এ প্রসঙ্গে বলেন, রাউজানের অন্তত ১০ গ্রামের পানি নিষ্কাশনের পথ পুরাতন কাঁশখালী খাল। ভরাট হয়ে যাওয়া খালটি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে একাধিক ব্যক্তি পাকা স্থাপনা তৈরি করেছে। স্থানীয়রা খালের জায়গায় নির্মিত অবকাঠামো গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বর্তমান পৌর প্রশাসক রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন, পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে কেউ অবকাঠামো নির্মাণ কাজ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিমাপ করে দেখা হবে খালের জায়গা জবরদখল হয়েছে কিনা।