বাবার ডিমের আড়তের ভেতর বন্যাদুর্গতের জন্য ত্রাণের প্যাকেট তৈরি করছিলেন কলেজ পড়ুয়া সাইফুল ইসলাম ও তাঁর বন্ধুরা। হঠাৎ সেখানে অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়েন চার সন্ত্রাসী। পরে দোকানের ক্যাশ থেকে ৮০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা। যাওয়ার সময় ছোড়েন ফাঁকা গুলি। যাতে কেউ এগিয়ে আসতে না পারেন।
গত ২৩ আগস্ট দিবাগত তিনটার দিকে চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী বাজারের একটি ডিমের আড়তের ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় দেখা যায় এই চিত্র। এই লুটে নেতৃত্ব দেন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মনসুর আহাম্মদ (৪৪)। বাকি তিনজন তাঁর সহযোগী।
ঘটনার পরপর বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানানো হলে। মাঠে নামে সিএমপির খুলশী থানার একটি টিম।
সোমবার (১১ নভেম্বর) মধ্যরাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বরগুনা জেলা থেকে তাকে আটক করে খুলশী থানার একটি টিম।
নগরের পাহাড়তলীর দুলালাবাদ এলাকার আবদুল মালেক দারোয়ানের বাড়ির মৃত জমির আহাম্মদের ছেলে মনসুর।
জিজ্ঞাসাবাদের পর তার দেখানোমতে খুলশী থানাধীন রেলওয়ের ক্যান্টিন গেটস্থ কালভার্টের পশ্চিম পাশে নালার মধ্যে মাটির নিচ থেকে কালো পলিথিন মোড়ানো একটি দেশিয় এলজি ও ২ রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময় চুরি–ছিনতাই দিয়ে অপরাধে জড়ান এই মনসুর। এলাকায় ১৫ থেকে ২০ জনের দল গঠন করে শুরু করেন নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। মনসুর পাহাড়তলী থানা-পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।
তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ১৬টি মামলা রয়েছে। ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল পাহাড়তলী বাজারে একটি ডিমের আড়ত রানা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক মাসুদ রানাকে খুনের মামলার আসামি এই মনসুর। টাকা লুট করতে বাধা দেওয়ায় তাকে খুন করা হয়।
এই ঘটনার পর অস্ত্র–গুলিসহ মনসুরকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। আবার জড়িয়ে পড়েন অপরাধে। বর্তমানে মাসুদ হত্যা মামলাটি বিচারাধীন।