নগরের বিপ্লব উদ্যানে নতুন করে বাণিজ্যিক স্থাপনা গড়ে তুলতে যে অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে তা ভেঙে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত স্থান বিপ্লব উদ্যান। চট্টগ্রাম শহরের অত্যন্ত প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই উদ্যান। এটা সবুজে ঘেরা ছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় এখানে কোনো দোকান দেয়নি এবং বাণিজ্যিক কিছু করেনি। ওই সব চিন্তাও করেনি বিএনপি সরকার বা বিএনপি’র যারা মেয়র ছিলেন তারা। কিন্তু যখনি সরকারের লুটপাটকারীরা ক্ষমতা নিয়েছে সাথে সাথে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সিন্ডিকেট তাদের ঘিরে ধরে এবং ওই বাণিজ্যিকীকরণের জন্য এখানের সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গতকালে সকালে বিপ্লব উদ্যানে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিপ্লব উদ্যান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এসময় মেয়র বলেন, আজ স্পষ্ট ঘোষণা দিতে চাই, নতুন করে মার্কেট নির্মাণের জন্য যে স্থাপনাগুলো করা হচ্ছে তা ভেঙে দেয়া হবে। এখানে নতুন কোনো স্থাপনা হবে না। এখানে সবুজের সমারোহ হবে। এখানে আবারও পাখি ডাকবে, মানুষ হাঁটবে এবং মানুষ এখানে এসে প্রাণভরে শ্বাস নেবে।
তিনি বলেন, আমাদের মা–বোন এবং ছেলে এখানে হাঁটতে পারেন না। তারা হাঁটতে চায়। এখানকার দোকান মালিক–সমিতির যিনি সেক্রেটারি আছেন তাকে আদেশ দিচ্ছি, নতুন স্থাপনাগুলো ভেঙে দিবেন, কর্পোরেশনের কর্মকর্তরা আপনার সঙ্গে থাকবে। এখানো নতুন কোনো স্থাপনা হবে না। এখানে আমরা অনতিবিলম্বে ‘গ্রীন পার্ক’ করব।
তিনি বলেন, মানুষের শ্বাস নেয়ার এবং হাঁটার কোনো জায়গা নেই। সবুজের কোনো সমারোহ নেই। সমুদ্র ও পাহাড় ঘেরা এই চট্টগ্রাম ৩০–৪০ বছর আগেও সুন্দর ছিল। গত ১৮ বছর সবুজ ধ্বংস করে, পাহাড় কেটে ধ্বংস করা হয়েছে।
ডা. শাহাদাত বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ বিপ্লব উদ্যান থেকে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, যেটা ঠিক এর পেছনেই ছিল সেখান থেকে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। উনি বলেছিলেন আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করছি। উনি পাকিস্তানি আর্মির মেজর ছিলেন। বিদ্রোহ করার কারণে উনার কোর্ট মার্শাল হতে পারত। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সেদিন উনি বাংলাদেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। সেটার জন্য এ বিপ্লব উদ্যান ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত স্থান।