মহেশখালী সোনাদিয়ার অদূরে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যুর গুলিতে মোকাররম মাঝি (৪২) নামে এক জেলে নিহত হয়েছে। এসময় আত্মরক্ষার্থে সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়া একাধিক জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে বলে কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, “সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে সোনাদিয়ার পশ্চিমে জলদস্যুর গুলিতে কুতুবদিয়ার মোকাররম মাঝি নিহত হয়েছেন। এছাড়াও ট্রলারসহ আরও কয়েকজন জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে শুনেছি।”
এই ঘটনায় নিহত জেলে মোকাররম কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের আজিম উদ্দিন সিকদার পাড়ার মৃত জাফর আহমদের সন্তান এবং উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের তিন ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য রহিমা বেগমের স্বামী।
জানা যায় জলদস্যুর কবলে পড়া ট্রলারটি কিছুদিন আগে কুতুবদিয়া উপকূল থেকে একাধিক মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরের মহেশখালীর সোনাদিয়া পয়েন্টে মাছ ধরতে গিয়ে এক দফায় মাছ ধরে ফের সাগরে জাল ফেলে মোকাররম মাঝি নিয়ন্ত্রিত মাছ ধরার ট্রলারটি। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার ভোরে নৌকাটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। এ সময় দস্যুদের উপস্থিতি টের পেয়ে জেলেরা ট্রলারটি নিয়ে দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করতে চায়।
এতে দস্যুরা ট্রলারটি লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকলে ট্রলারের মাঝি গুলিবিদ্ধ হয়ে সাগরে পড়ে যায়। পরে অন্যান্য জেলেরা তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়ার মগনামা ঘাটে নিয়ে আসে পরে সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের দিকে নেওয়ার পথে সমুদ্রের বাঁশখালী পয়েন্টে মোকাররমের মৃত্যু হয়। এ সময় তার মরদেহটি বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় সাথে থাকা জেলেরা। বর্তমানে মরদেহটি বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে।
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান- মহেশখালীর গভীর সাগরে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনে লাশ বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশের সুরতহাল সংগ্রহ করেছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।