ফজলে করিম, হাছান মাহমুদসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জানাজায় যাওয়ার পথে অপহরণ

রাউজান প্রতিনিধি | বুধবার , ৬ নভেম্বর, ২০২৪ at ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ

রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ ৫৩ জনের নাম উল্লেখ করে রাউজান থানায় আরো একটি মামলা রুজু হয়েছে। গত ৩ নভেম্বর মামলাটি দায়ের করেন হাটহাজারী ইস্টার্ণ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আবদুল মালেক। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে বিএনপির সাবেক স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জানাজায় অংশ নিতে বাধা ও মরহুমের বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় শোকাহত মানুষকে পথে আটকিয়ে মারধর ও নির্যাতন এবং বাদীকে অপহরণ করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আওয়ামী ফ্যাসিবাদি সরকার একটি মিথ্যা ও সাজানো অপরাধে ঢাকার কাশিমপুর কারাগারে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর করলে সারাদেশের মানুষের মতো আমিও প্রচণ্ডভাবে মর্মাহত এবং শোকাহত হয়ে পড়ি। পরবর্তীতে জানতে পারি ওনাকে রাউজান গহিরাস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। এর ভিত্তিতে আমি সেদিন সকাল ৭টায় হাটহাজারীর বাসা থেকে জানাজায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে বের হই। এ সময় দেখতে পাই, সাধারণ মানুষ যেন জানাজায় অংশ নিতে না পারে সেজন্য ১৬ নম্বর আসামির নির্দেশে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী দা, কিরিচসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাউজান গহিরার বিভিন্ন পয়ন্টে শত শত পুলিশের সহযোগিতায় সাধারণ পথচারীদের উপর নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে। পথে পথে ছাত্রলীগযুবলীগের সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন গাড়িতে হামলা করে ককটেল বিস্ফোরণ করে জনমনে ভীতি তৈরির চেষ্টা করে। তাদের যাকে সন্দেহ হয় তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়। আমি বিভিন্ন স্থানের বাধা পেরিয়ে রাউজান গহিরা বাজারে পৌঁছামাত্র আসামিরা আমাকে চড়, থাপ্পড় ও ঘুষি মারতে মারতে পাশের একটি দোকান ঘরে নিয়ে মাটিতে ফেলে গাছের বাটাম দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে দুই আসামি আমার হাতপামুখ বেঁধে ফেলে। তার আমাকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি প্রদান করে। পরে হাত, পা ও চোখ বেঁধে একটি গাড়িতে উঠিয়ে প্রায় আধাঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তারা আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে নির্মম নির্যাতন চালায়। তারা চাঁদার জন্য কোমরের পেছনে ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে শরীরের মাংস তুলে ফেলে। পরে আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে চাঁদা দিয়ে মুক্তি পাই।

বাদীর অভিযোগ, তৎকালীন হাটহাজারী থানার ওসির কাছে আমার স্ত্রী সহায়তার জন্য গেলেও কোনো সহযোগিতা পাননি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগুম কমিশনে ১৬শর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে
পরবর্তী নিবন্ধআমিরাতে আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু আজ