দ্রব্যমূল্য যেন রেসের পাগলা ঘোড়া! ছুটছে তো ছুটছেই! বাজার তদারকি কর্তৃপক্ষ কেবল মুখেই বড় বড় কথা, কাজের বেলায় অষ্টরম্ভা। সিন্ডিকেটের সামনে তাঁরা নিতান্তই অসহায়! কাঁচা মরিচ যেন রীতিমত শাসাচ্ছে! অন্যদিকে ডিমের বাজার প্রায় ক্রেতাশুন্য। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়! পেঁয়াজ যেন টি ২০ খেলছে, স্ট্রাইক রেট ১২০.০০! শেষ ভরসা সর্ষের তেল দিয়ে আলুভর্তা খেতেও এখন চোখে সর্ষে ফুল দেখার জোগাড়! আজকাল বাজারে আলু দেখলেই মনে পড়ে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বিখ্যাত সেই গান, ‘আমি দূর হতে তোমারেই দেখেছি, আর মুগ্ধ এ চোখে চেয়ে থেকেছি’! শূন্য পকেটের ক্রেতা বাজার থেকে ফেরে খালি থলে হাতে! কঠিন বাস্তবতা হলো, সাধারণ মানুষের আয়–রোজগার একেবারেই বাড়েনি। শ্রীবৃদ্ধি হয়নি মানিব্যাগের স্বাস্থ্যের। স্মার্ট বাংলাদেশের অবস্থা এখন ‘ঘটি ডোবে না নামে তাল পুকুর’! হেলাফেলা করার সময় নেই। দেশ গড্ডালিকা প্রবাহে ভেসে যাচ্ছে! খারাপের শেষ সীমা অতিক্রম করে গেছে বললে অত্যুক্তি হবে না। কী আর বলবো, সত্যিই আর পারা যাচ্ছে না! কথা তো এখন একটাই, দ্রব্যমূল্যের লাগামছাড়া দৌড় থামাতেই হবে। আর যে কোনো উপায় নেই! বহুকাল যাবৎ ‘সিন্ডিকেট’ দানবের পকেটে বন্দী হয়ে আছে নিত্যপণ্যের বাজার! সমাজের সমুদয় ক্ষেত্রেই ঘাপটি মেরে বসে থাকা ক্ষুধার্ত, ভয়াল ‘সিন্ডিকেট’–কে আর সহ্য করা যাচ্ছে না। দরকার সাঁড়াশি অভিযান!