লেকভিউ আবাসিক এলাকায় পাহাড় কাটার প্রমাণ পেল পুলিশ

অভিযানের সময় পালাল কয়েকজন দুজন গ্রেপ্তার ও সরঞ্জাম উদ্ধার, মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৬ নভেম্বর, ২০২৪ at ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

লেকভিউ আবাসিক এলাকায় পাহাড় কাটার প্রমাণ পেল পুলিশ। দৈনিক আজাদীতে ফয়’স লেক এলাকার লেকভিউ আবাসিক এলাকায় পাহাড় কাটার সংবাদ প্রকাশের জের ধরে আকবরশাহ থানা পুলিশের একটি দল উক্ত আবাসিক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে পাহাড় কাটার সময় হাতেনাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন পালিয়ে যায়। পুলিশ পাহাড় কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করে। পাহাড় কাটার এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

আকবরশাহ থানা পুলিশ জানায়, আজাদীতে লেকভিউ আবাসিক এলাকায় পাহাড় কাটা সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশের পর সিএমপি কমিশনারের নির্দেশে উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রোজিনা খাতুনের নির্দেশনায় এসআই মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ লেকভিউ আবাসিক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশ দলটি লেকভিউ আবাসিক এলাকায় পৌঁছার পর পাহাড় কাটার প্রমাণ পায় এবং ওই সময় একদল লোককে পাহাড় কাটতে দেখে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাহাড়খেকোদের কয়েকজন পালিয়ে গেলেও দুজন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।

গ্রেপ্তার দুজন হচ্ছেন লেকভিউ আবাসিক এলাকার আবদুল হামিদ সড়কের পাটোয়ারী ভিলার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন এবং চকবাজারের সরিষা রোডের পেঁচার কলোনির বাসিন্দা মোফাজ্জল হোসেন। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজন পালিয়ে গেছে। এদের মধ্যে আরো দুজনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি কোদাল, দুটি শাবল, বেলচাসহ পাহাড় কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করে। এ সময় পুলিশ খাঁড়া পাহাড় কেটে ফেলা অংশের ছবি আলামত হিসেবে সংগ্রহ করে। পাহাড় কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করেছে।

আকবরশাহ থানা পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্নভাবে আড়াল তৈরি করে সংঘবদ্ধ চক্র পাহাড় কাটছে। দিনের বেলায়ও পাহাড় কাটছে চক্রটি। লেকভিউ আবাসিক এলাকার পাহাড়গুলো নিশ্চিহ্ন করে বাড়িঘর নির্মাণের তোড়জোড় চলছে। ইতোমধ্যে বহু পাহাড় কেটে ফেলা হয়েছে। যেগুলো আছে সেগুলোও কাটা হচ্ছে।

পাহাড় কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন সিএমপি অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (পিআর) কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ। তিনি বলেন, পাহাড়ে আর যাতে কেউ একটি কোপও দিতে না পারে সেজন্য পুলিশ মনিটরিং করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফেসবুক পোস্ট ঘিরে হাজারী গলিতে উত্তেজনা
পরবর্তী নিবন্ধমার্সিডিজ বেঞ্জের সর্বোচ্চ দর উঠেছে সাড়ে ৬ কোটি টাকা