অনলাইনে নিলামে উঠছে ফেব্রিক্সসহ ৪৬ লট পণ্য

চট্টগ্রাম কাস্টমস দরপত্র দাখিলের সময়সীমা আজ বিকাল পর্যন্ত

জাহেদুল কবির | মঙ্গলবার , ৫ নভেম্বর, ২০২৪ at ৮:৩১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম কাস্টমসে বিভিন্ন ধরনের ফেব্রিক্সসহ ৪৬ লট পণ্য অনলাইন নিলামে (ই অকশন) তোলা হচ্ছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ অনলাইনে দরপত্র জমা দেয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করেছে ২৫ অক্টোবর সকাল ৯ টা থেকে আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৭ ও ২৮ অক্টোবর ১৬ লট বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিলামে তোলার মাধ্যমে ইঅকশনের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ২০২১ সালের ১৯ ও ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ২০ লট পেঁয়াজ নিলামে তোলা হয়। এছাড়া একই বছরের ৩ ও ৪ নভেম্বর কার্নেট ডি প্যাসেজ বা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আসা বিলাসবহুল ১১২ লট গাড়ি তোলা হয়। দ্বিতীয় দফায় ১২ ও ১৩ জুন কার্নেট ডি প্যাসেজ বা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আসা ১০৮টি গাড়ি পুনরায় নিলামে তুলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

গত ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ৭৮ লট কার্নেট গাড়ি নিলামে তোলা হয়। এছাড়া ২০২৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন ধরনের ২৩ লট পণ্য এবং গত ৩১ ডিসেম্বর ১০৮ লট পণ্য ইঅকশনে তোলা হয়। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন ধরণের ৭৯ লট পণ্য নিলামে তোলা হয়। ১৬ মে নিলামে তোলা হয় ৯০ লট পণ্য। ২৬ জুন নিলামে তোলা হয় ৬২ লট পণ্য। এছাড়া সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর তোলা হয় ৬ লট পণ্য।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের বিডাররা বলছেন, অনুমোদনে সময়ক্ষেপণের কারণে ইঅকশন নিয়ে আসলে বিডারদের তেমন কোনো আগ্রহ নেই। যার ফলে সাধারণ বিডাররা ইঅকশন থেকে বারবার মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ইঅকশন মানে হচ্ছে দ্রুত নিলাম। এখানে ম্যানুয়াল নিলামের মতো মাসের পর মাসের সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। তাহলে ইঅকশন করে লাভ কি। এছাড়া পদ্ধতিগত এখনো সবকিছু ম্যানুয়াল নিলামের মতো হচ্ছে। নিলামের স্থায়ী আদেশ অনুযায়ী ১২ কার্যদিবসের মধ্যে পণ্যের অনুমোদন দিতে হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম জানান, রুটিন আমাদের একটি নিয়মিত কাজ। সেই কাজের অংশ হিসেবে আমরা এবার ৪৬ লট পণ্য অনলাইন নিলামে তুলেছি।

উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফৌজদারহাট আইএইচটি শিক্ষার্থীদের ফের মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ
পরবর্তী নিবন্ধঢাবিতে হাসিনাসহ ৫ জনের প্রতীকী ফাঁসি