বাংলাদেশ দলের জন্য সবসময়ই চিন্তার জায়গা ব্যাটিং। এর মধ্যেও যেন বাড়তি চিন্তা ওপেনারদের। দীর্ঘদিন ধরেই তারা ভালো শুরু এনে দিতে পারছেন না দলকে। এ নিয়ে ভুগতেও হচ্ছে। সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও ভালো করতে পারেননি টপ অর্ডার ব্যাটাররা। ঢাকা টেস্টে না থাকলেও চট্টগ্রামে একাদশে ছিলেন জাকির হাসান। যদিও দুই ইনিংসে ২ ও ৭ রান করে আউট হন। এখন অবশ্য তার সামনে ভিন্ন মিশন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াডে আছেন জাকির। তবে ওপেনারদের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে প্রশ্নে তাকে ফিরতে হয়েছে টেস্টেই। গতকাল রোববার মিরপুরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন এটা খুবই সত্য যে আমরা ভালো শুরু এনে দিতে পারছি না। টেস্টেও যেমন আমরা ভালো শুরু দিতে পারিনি কয়েকটা ম্যাচে। যার কারণে আমরা একটু ভুগেছি। একই সঙ্গে ওটা নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না। যেহেতু খুব তাড়াতাড়ি সিরিজ গুলো আসছে। পরের সিরিজে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি সবাই সবার জায়গা থেকে যে, কিভাবে উন্নতি করা যায়। ওগুলো ওভারকাম করা যায়। প্রত্যেকটা সিরিজে ভালো একটা জুটি গড়া, ওপেনিং বা টপ অর্ডার থেকে ভালো একটা অবস্থায় নেওয়া দলকে। যেন মিডল অর্ডারদের জন্য আরও সহজ হয়।
টেস্টে শুরুটা বেশ ভালো হয়েছিল জাকিরের। কিন্তু পরে সেভাবে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি। প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা এই ব্যাটারের কাছে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও প্রত্যাশা ছিল বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্টের মাঝখানেও একটি প্রথম শ্রেনীর ম্যাচ খেলেছেন জাকির। তবে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটতো অবশ্যই একটা ভিত আমাদের। যেটা খেলেই আসতে হবে। আমার হয়তো একটু সময় ছিল, এ কারণে আসতে পেরেছি। যদি আপনি ওভাবে মেজারমেন্ট করেন যে প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেট খেলে আসলেই যে ভালো হবে তা কিন্তু না। আমি শুরু ভালো করেছি। একটা সময় হয়তো মানুষের এদিক–সেদিক যায়। একই সঙ্গে আমার ওটা নিয়ে পড়ে থাকলেও হবে না। ওই জিনিস ওভারকাম করে কীভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধারাবাহিক হওয়া যায় ওদিকে মনোযোগ দিতে হবে। নতুন কোচ ফিল সিমন্সের ব্যাপারে জাকির বলেন উনি সিরিজে খুব কম সময় নিয়ে এসেছেন। উনি একটু পর্যবেক্ষণও করছেন কোন খেলোয়াড় কিভাবে এপ্রোচ করে। কিছু ছোট ছোট তথ্য ম্যাচের মাঝখানে দিয়ে দিয়েছেন। আশা করি আরও বিস্তারিত তথ্য পাবো।