একজন সত্যিকার ইমোশনাল ও পার্সোনালিটিসম্পন্ন মেয়ে তার পুরো সম্পর্কে কেবল খুঁজে তার প্রিয় পুরুষের কাছ থেকে কম্পফোর্টজোন ও সম্মান। যার প্রতি থাকবে অগাধ বিশ্বাস। যদি সেটা পেয়ে যায় তাহলে আর কখনোই সে তাকে প্রথম দিনের মতন ভালোবাসতে ভুলে না। তাকে হারাতে চায় না। নদী যেমন ঢেউ কে ধরে রাখে, ঠিক মেয়েটাও চায় তার প্রিয় মানুষটা তারই থাক সারাজীবন।
প্রতিটা মেয়ে পুরুষের ছোঁয়ার ভাষা বুঝে, সে যখন বুঝতে পারে। ভালোবাসার মানুষটার ছুঁয়ে যাওয়ার ভাষার ভিন্নতা তখন সে নিজেকে নিজে প্রশ্নবিদ্ধ করে, আসলে সে কার কাছে নিজেকে প্রেজেন্ট করছে। ভালোবাসায় কিংবা মমতায় ঘাটতি হলে মেয়েরা নিজেকে গুটিয়ে নেয়। মেয়েরা চাই ভালবাসায় বিশ্বাস। আর সেটা যদি না তাকে! তার আগের মতন সে পাগলাটে মনটাও থাকে না।
কথায় আছে তুমি যদি কোন মেয়েকে এঞ্জেল হিসেবে দেখতে চাও তোমার জীবনে, তাহলে তার জন্য ভালোবাসার বেহেস্ত তৈরী করো। কারণ কোন এঞ্জেলই নরকে বাস করে না। মেয়েরা জলের মতন সেখানে তুমি মিশাবে তার দ্রবণ হিসেবে তোমাকে ততটুকুনই ফেরত দিবে। একজন সত্যিকার নারীকে তুমি ঘর দিলে সে তোমাকে সংসার দিবে। তুমি তাকে খাবার দিলে সে তোমার জন্য রান্না করবে। তাকে শান্তি দিলে তোমাকে সুখ ফেরত দিবে। সব মেয়েই শান্ত জলের মতনই জন্মায়। তোমার ব্যবহার ও তাকে ট্রিট করার ভাষায় নিজেকে সে বিবর্তন করে। তোমাকে আস্ত একটা বিস্বতার আঙিনায় ভরপুর করে দিবে। আর যখন একজন প্রকৃত নারী অনেক চেষ্টার পরও সে তার প্রিয় মানুষটার কাছ থেকে ভালোবাসা ও সম্মান ও মায়াটা না পায়, তখন সে নিজেকে গুটিয়ে নেয়। নিজেকে তখন তৈরী করে নেয় তাকে আরেকটি মানুষ হিসেবে। সম্পূর্ণ গুটিয়ে নেয় সেই মানুষ থেকে। নতুন মানুষটা ভিন্ন রকম সে কাউকে তার জীবনে আর প্রয়োজন মনে করে না। এটাই নারী, এটাই নারীর বৈশিষ্ট্য!