যারা স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদান করে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করছেন, তাদের সহ সাধারণ জনগণকে রক্তদানে উৎসাহিত করি। স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদানকারী, আড়ালে থাকা সেসব অজানা বীরের উদ্দেশ্যে, উৎসর্গীকৃত জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান দিবস। নিজে স্বেচ্ছায় রক্তদান করি, অন্যকেও স্বেচ্ছায় রক্তদানে উৎসাহিত করি। আসুন একব্যাগ রক্ত দিয়ে একটি প্রাণকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করি। জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান দিবসে কামনা করছি যেন একটি প্রাণও রক্তের অভাবে মারা না যায়। রক্তদান– হৃদরোগ, ক্যান্সার বিশেষ করে ফুসফুস, লিভার, কোলন, পাকস্থলী ও গলার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোসহ ১৭টিরও বেশি রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। রক্তদানের সাথে সাথে দেহের বোন ম্যারো নতুন কণিকা তৈরির জন্যে উদ্দীপ্ত হয়। ফলে সুস্থতা, প্রাণবন্ততা আর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ব্লাড ল্যাবে রক্ত দিয়ে একজন দাতা তার সার্বিক সুস্থতাকে যাচাই করে নিতে পারেন।
ফলে প্রতি চার মাসে এক বার করে বছরে তিন বার হয়ে যাচ্ছে তার ব্লাড প্রেশার, পালস লেভেল থেকে শুরু করে হেপাটাইটিস–বি, হেপাটাইটিস–সি, সিফিলিস, এইডস এবং ম্যালেরিয়া স্ক্রিনিং টেস্ট। নিজের সুস্থতা সম্পর্কে একটি বছরে এতবার আশ্বস্ত হওয়ার সুযোগ আর কোথায় পাবেন? আমাদের দেশে প্রতিবছর যে পরিমাণ রক্ত লাগে, তার মাত্র ২৫ ভাগ দেন স্বেচ্ছা রক্তদাতারা? বাকি ৭৫ ভাগই দেয়া হয় পেশাদার রক্ত বিক্রেতারা অথবা রোগীর আত্মীয়–পরিজনরা। তার মানে প্রয়োজনীয় রক্তের বড় অংশটাই এখনো মেটাতে হচ্ছে অনিরাপদ উৎস থেকে। রক্তদানের ভীতি কাটিয়ে আপনি কিন্তু এই নিরাপদ উৎসের ভাগটাই বাড়াতে পারেন। সহজে পাওয়া যায়, এমনকিছুও যখন সময়মতো পাওয়া যায় না, তখন সেটাই দুষ্প্রাপ্য, দুর্মূল্য! আর রক্ত এমন জিনিস যার বিকল্প শুধু রক্তই। আপাতদৃষ্টে যাকে আপনি বলছেন ‘কমন’, প্রয়োজনের সময় সেটাই না পেয়ে হয়তো বিপন্ন হতে পারে কোনো মুমূর্ষের জীবন। কাজেই সময়মতো দিলে আপনার এই সহজলভ্য রক্তই হয়তো বাঁচিয়ে দিতে পারে একটি প্রাণ!