বাঁশখালীতে নানার বাড়ির রান্না ঘরের পেছন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মো. ফোরকান (২৭) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই যুবকের গলা, জিহবা থেকে রক্ত ঝরছিল বলে স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। গতকাল রবিবার সকালে সাধনপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বৈলগাঁও গোয়াজর পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ফোরকান একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম বৈলগাঁও এলাকার মৃত মুহাম্মদ হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, নিহত মো. ফোরকানের লাশ নানার বাড়ির রান্না ঘরের পেছনে দরজার কাছে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্বজনেরা। এ সময় ফোরকানের পরনে ছিল হাফ হাতা গেঞ্জি ও প্যান্ট। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের মামা ইদ্রিস বিদেশ থাকেন। মামার বাড়িতে তার আরেক খালাতো ভাই থাকেন। পুলিশ যখন লাশ উদ্ধার করছিল, তখন স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ শত শত জনতা ভীড় জমায়। ফোরকানের মা জাহানারা বেগমের আহাজারিতে তখন পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। তিনি শত্রুতাবশত তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
এদিকে স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিগত কয়েক বছর আগে ফোরকানের বাবা মোহাম্মদ হোসেন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। তারা ৪ ভাই ২ বোন থাকলেও সে ছিল ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। এক বোন প্রতিবন্ধী। বাবার মৃত্যুর পর কোনো রকমে সংসার চললে একই এলাকায় বিয়ে করে ফোরকান। কিন্তু সে বউ কয়েক মাস আগে বাপের বাড়ি চলে যায়। এ নিয়ে সামাজিক শালিস হয়। এছাড়া আদালতে মামলাও চলছে।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, হত্যার ঘটনার সাথে জড়িতদের বের করার জন্য চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত ফোরকানের বড় ভাই মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।