৫ নভেম্বর, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর মাত্র দুই দিন বাকি। গতকাল রাত একটায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ৭ কোটি ৩০ লাখ আগাম ভোট পড়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে। আমেরিকায় ভোট দেওয়ার যোগ্য নাগরিকের সংখ্যা ২৩ কোটির বেশি। এ বারের নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি। সর্বশেষ ২০২০ সালের নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল ৬৬ শতাংশ, যা ছিল গত এক শতকের মধ্যে সর্বোচ্চ। সে বার আগাম ভোট পড়েছিল প্রায় ১০ কোটি।
এদিকে ৬০তম এ নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় গতকাল দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য নর্থ ক্যারোলাইনায় প্রচারণা চালিয়েছেন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে ট্রাম্প না হ্যারিস, কে জিতবেন তা সাতটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের ওপর নির্ভর করছে বলে জানাচ্ছে মার্কিন গণমাধ্যম ও নির্বাচনি বিশ্লেষকরা। এই সাতটি অঙ্গরাজ্যের একটি নর্থ ক্যারোলাইনা। এই নিয়ে টানা চারদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একই দিন একই অঙ্গরাজ্যে প্রচারণা চালাতে গেলেন। প্রায় সবগুলো জনমত জরিপে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। দোদুল্যামান অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে পেনসিলভ্যানিয়ার পর সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল ভোট নর্থ ক্যারোলাইনা ও জর্জিয়ায়, ১৬টি করে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীকে অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হবে। ২০২০ এর নির্বাচনে মাত্র এক দশমিক ৫ শতাংশ পয়েন্টের ব্যবধানে নর্থ ক্যারোলাইনায় জয় পেয়েছিলেন ট্রাম্প, কিন্তু ওই একই নির্বাচনে অঙ্গরাজ্যটি একজন ডেমোক্র্যাটকে গভর্নর নির্বাচিত করেছিল, ফলে এখানে প্রতিদ্বন্দ্বী উভয় দলের আশাই বজায় আছে।
নর্থ ক্যারোলাইনার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে আরেক দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য উইসকনসিনে ছিলেন হ্যারিস। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা ও অভিপ্রায় হল যুক্তরাষ্ট্রের কারখানাজাত উৎপাদনে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখা। এভাবেই আমরা একুশ শতকে চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে পারবো।’
শুক্রবার আরেক দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য মিশিগানে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমরা আরও চার বছর চরম অক্ষমতা ও ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাবো অথবা আমাদের দেশের ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ চারটি বছর শুরু করবো কি না, এর মধ্যে একটি বেছে নেওয়ার নির্বাচন এটি।’