চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতুতে বেগম খালেদা জিয়ার নামফলক পুনঃস্থাপন করেছেন তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের নেতাকর্মীরা। গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টায় কর্ণফুলী তৃতীয় সেতুর (শাহ আমানত সেতু) দক্ষিণ মুখে টোল বক্সের পার্শ্ববর্তী নির্ধারিত স্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্থাপিত সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর নামফলকটি পুনঃস্থাপন করা হয়। সংগঠনের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আলমগীর নূরের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা নামফলকটি পুনঃস্থাপন করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১৯ এপ্রিল তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া শাহ আমানত সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছিলেন। ২০১০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন স্বৈরশাসকের দোসররা ফলকটি ভেঙে ফেলার দীর্ঘ ১৪ বছর পরে গতকাল ভিত্তিপ্রস্তরের নামফলকটি পুনঃস্থাপন করা হয়। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক নেতা নুরুল ইসলাম রিপন, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জান্নাতুন নঈম চৌধুরী রিকু, বাকলিয়া থানা বিএনপি নেতা তাহের জামাল চৌধুরী, সংগঠনের দক্ষিণ জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি যুবনেতা হান্নান রহিম তালুকদার, গবেষণা কেন্দ্রের বাকলিয়া থানা কমিটির সভানেত্রী কামরুন্নেছা, মো. ফারুক, ইকবাল হোসেন, মো. মুছা, সালাউদ্দিন, খোরশেদ আলম প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, কর্ণফুলী সেতুর (শাহ আমানত সেতু) নির্মাণের পুরো কৃতিত্ব খালেদা জিয়া ও বিএনপির। কুয়েতের আমীরের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়া নিজে আলোচনা করে এই সেতুর পুরো অর্থায়ন নিশ্চিত করেন। সেতুর ৮০ ভাগ কাজ বিএনপির আমলেই শেষ হয়। তখন বিরোধী দলে থাকা আওয়ামী লীগ এই সেতু নির্মাণের বিরোধিতা করেছিল এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া যেদিন সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর ফলক স্থাপন করতে চট্টগ্রাম আসেন, সেদিন তারা চট্টগ্রামে হরতাল ডেকেছিল। পরে খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনসহ ১৭ বছর ধরে স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলন, জুলাইয়ের ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে গুম, নিহত–আহত–নির্যাতিতদের জন্য বিশেষভাবে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।