এখন থেকে রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কোনো ট্রেনের টিকিট ব্লক করে রাখতে পারবে না। যারা টিকিট ব্লক করে রাখবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন ট্রেনের কত টিকিট আছে তা সব স্টেশন থেকে যাত্রীরা দেখতে পাবেন। একই সাথে টিকিট কালোবাজারি বন্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
দীর্ঘদিন থেকে রেলের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা রেলের টিকিট ব্লক করে রাখতেন। এই কারণে যাত্রীদের টিকিট নিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হতো। এখন থেকে কোনো ট্রেনের কোনো টিকিট রেলের কোনো কর্মকর্তা–কর্মচারী মৌখিক বা টেলিফোনে ব্লক করে রাখতে পারবেন না বলে নির্দেশনা দিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, রেলওয়ে থেকে মৌখিকভাবে ট্রেনের টিকিট ব্লক করে রাখা হয়। এখন থেকে মৌখিক বা টেলিফোনে টিকিট বিতরণ বন্ধ করা যাবে না। রেলের টিকিট নিয়ে দুর্ভোগের কারণ তারাই। যারা টিকিট ব্লক করে রাখবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আবার বিভিন্ন স্টেশন থেকেও টিকিট বরাদ্দ আছে। এখন সেটা এক স্টেশনে বিক্রি না হলে অন্য স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।
কালোবাজারি শিগগিরই বন্ধ করা হবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, টিকিট কালোবাজারি বন্ধে রেলের এক অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর রেল ভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের রুট রেশনালাইজেশন এবং ই–টিকেটিং ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রেলের টিকিট নিয়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ, কালোবাজারি বন্ধ এবং টিকিটিং ব্যবস্থা আরো সহজীকরণে তিনি এই নির্দেশনা দেন। এদিকে ট্রেনের অনলাইন টিকিট পদ্ধতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এই ব্যাপারে উপদেষ্টা বলেন, এখন যাত্রীরা কমলাপুর থেকে টিকিট চাইলেন সেখানে টিকিট নেই। কিন্তু তেজগাঁও থেকে আছে। আবার ৭টার ট্রেনে টিকিট নাই, কিন্তু ১০টার ট্রেনে আছে। রেলওয়ের অনলাইন টিকিট পদ্ধতির সহযোগী সহজকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ‘যাত্রী যেন এখন থেকে এটা দেখতে পান কখন, কোথায় কোন স্টেশন থেকে টিকিট আছে। আগামী দুই–তিন দিনের মধ্যে এটা ঠিক হবে বলে জানায় রেলওয়ের অনলাইন টিকিট পদ্ধতির সহযোগী ‘সহজ ডটকম’।
রেলওয়ের বিভিন্ন রুটে ট্রেন চলাচলের অব্যবস্থাপনার অভিযোগ দীর্ঘদিন থেকে থাকলেও ক্ষমতার দাপটে তা বছরের পর বছর চলে আসছে।
যে সব রুটে যাত্রী নেই সেখানে নতুন নতুন ট্রেন দেয়া হয়েছে। আবার যেখানে যাত্রী আছে সেখানে চাহিদা মোতাবেক ট্রেন নেই। এই অব্যবস্থাপনা শিগগিরই বন্ধ হবে। যেখানে যাত্রী আছে সেখানে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর আশ্বাস দেন উপদেষ্টা। বিদেশীরা যেসব জায়গায় যায় যেমন ঢাকা–সিলেট, ঢাকা–চট্টগ্রাম এসব রুটে আলাদা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।