খাগড়াছড়িতে পরিবেশ আইন অমান্য করে পাহাড় কেটে সাবাড় করে দেয়া হচ্ছে। রাতের আঁধারে পাহাড় কাটা মাটি বিক্রয় করা হচ্ছে। সম্প্রতি জেলা সদরের গামারিঢালা এলাকায় পাহাড় কাটার অপরাধে আল আমিন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। তবে মামলা দায়ের করার পরও তিন দিন পার হলেও গ্রেফতার হয়নি আসামি।
সরেজমিনে দেখা যায় খাগড়াছড়ি–মহালছড়ি সড়কের গামারিঢালা এলাকায় সড়কের লাগায়ো পাহাড় কেটে সাবাড় করে দিয়েছে আল আমিন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। সড়কের পাশে লাগায়ো পাহাড়টি কেটে অন্যত্র মাটি বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। রাতের আঁধারে অন্তত ৪ একরের বেশি পাহাড় কেটে সমান করে ফেলা হয়েছে। এর আগে সড়কের বিপরীতে ১শ মিটার দূরে আরো একটি পাহাড় কেটে তা আড়াল করতে সেখানে কলা গাছ লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মূলত রাতের আঁধারে স্কেভেটর দিয়ে এসব পাহাড় কাটা পরে। তবে ট্রাকে করে বিভিন্ন স্থানে মাটি বিক্রয় করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে ঐ এলাকায় মাটি কেটে বিক্রির কাজ করছিল আল আমিন।
এদিকে পাহাড় কাটার বিষয়টি জানার পর তৎপর হয় স্থানীয় প্রশাসন। তবে অভিযানকালে ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়। পাহাড় কাটার অপরাধে অভিযুক্ত আল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাসান আহমদ জানান, পাহাড় কাটার অপরাধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫, সংশোধিত (২০১০) ৬ ধারা অনুযায়ী বিনা অনুমতিতে পাহাড় কাটার অপরাধে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর আমি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পাশাপাশি অভিযুক্ত আল আমিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে উপজেলা প্রশাসনও। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় বলেন, আল আমিন স্থানীয় এক ব্যক্তি থেকে পাহাড়টি ক্রয় করে। পাহাড়ের মালিকানা পরিবর্তনকালীন সময়ে তিনি পাহাড় কেটে সাবাড় করে দেন। অবৈধভাবে জমির শ্রেণীর পরিবর্তন করায় তার নামজারির আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এতে তার নামে ঐ পাহাড় আর রেকর্ড হবে না বা তার নামে খতিয়ান সৃষ্টি হবে না। খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, পাহাড় কাটার অপরাধে আল আমিনের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা হয়েছে। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ওয়াদুল হক। তদন্তকারী কর্মকর্তা চাইলে পুলিশ আসামিকে গ্রেফতারে সহযোগিতা করবে।