মহেশখালীতে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার ও রাজনৈতিক পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের গুলিতে রাতের আঁধারে নিজ বাড়িতে খুন হয়েছেন এক প্রতিবন্ধী নারী। তার নাম ফরিদা ইয়াসমিন ছৈয়দা প্রকাশ কালামনি (৩৯)। গত বুধবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ি ফকিরাঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফরিদা কালারমার ছড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফরিদুল আলমের ছোট বোন এবং শারীরিক (বিকলাঙ্গ) প্রতিবন্ধী। পৈত্রিক বসত ভিটার একপাশে ঘর করে স্বামীর সঙ্গে তিনি বসবাস করতেন।
নিহতের ভাই বিএনপি নেতা ফরিদুল আলম অভিযোগ করে বলেন, তার পরিবার বিএনপি করায় স্থানীয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা তারেক বিন ওসমান শরিফ ও তার সহযোগী স্থানীয় রশিদের সন্ত্রাসী বাহিনী তার বোনকে হত্যা করেছে। তিনি আরো বলেন, সরকার পতনের পর থেকে একদল সন্ত্রাসী আমাদের বাড়ির পূর্ব পাশে পাহাড়ে অবস্থান করছে। তারা ২০–২৫ জনের একটি দল বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আমার বোনের মৃত্যু হয়।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কায়সার হামিদ জানান, কালারমারছড়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক নারী নিহতের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।
এদিকে প্রতিপক্ষ গ্রুপের একটি সূত্রের দাবি, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও রাজনৈতিক কারণে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা চলে আসছিল। এরই জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে প্রতিবন্ধী ফরিদা ইয়াসমিন ছৈয়দাকে হত্যা করেছে তার পরিবারের লোকজন।