চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন ও মাথায় দায়ের কোপে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে করা একটি মামলায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে কর্ণফুলী থানাধীন বৈরাগ কান্তির হাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পরের দিন সোমবার আদালতের মাধ্যমে স্বামীকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. সোহেবুর রহমান (৩৩)। সে চাঁদপুর জেলার বাবুরহাট গ্রামের গোলাম মোহাম্মদ জমাদারের ছেলে। সে বর্তমানে কর্ণফুলী থানাধীন বৈরাগ কান্তির হাট সিরাজ সওদাগরের ভাড়া বাসায় বসবাস করে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে সোহেবুর রহমানের সঙ্গে নগরীর আগ্রাবাদ পানওয়ালা গ্রামের আমির হোসেনের মেয়ে সাদিয়া আক্তারের ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
কিন্তু বিয়ের পর থেকে স্বামী সোহেব স্ত্রী সাদিয়াকে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। এর মধ্যে সাদিয়াকে না জানিয়ে সোহেব আরেকটি বিয়ে করে। দ্বিতীয় বিয়ে পর থেকে প্রথম স্ত্রী সাদিয়া ও তার সন্তানের খোঁজখবর ও ভরণপোষণ দেন না।
পরে স্ত্রী সাদিয়া তার ও সন্তানের ভরনপোষণ চাওয়ায় উল্টো তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে গত ১০ সেপ্টেম্বর কান্তির হাট সিরাজ সওদাগরের ভাড়া বাসায় স্ত্রী সাদিয়াকে বেদম মারধর ও হত্যার উদ্দেশ্য মাথায় দা দিয়ে কোপ মারেন। এতে স্ত্রী সাদিয়া গুরুতর জখম হয়।
পরে সাদিয়া সুস্থ হয়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পাষণ্ড স্বামীর বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় মামলা করেন। যার মামলা নং-৩৫।
এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কর্ণফুলী বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে স্বামী বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।’