গত কদিন ধরে সংবাদ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে শান্ত নেতৃত্ব ছাড়তে চাওয়া নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সংবাদমাধ্যমে নানা কিছু দেখে কোনো সিদ্ধান্ত তিনি নিতে চান না। চট্টগ্রামে অধিনায়কের সঙ্গে বসে বিস্তারিত কথা বলে সবকিছু সমাধানের চেষ্টা করবেন বোর্ড প্রধান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট শুরুর আগে কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় নেতৃত্ব ছাড়তে চাওয়ার কথা বিসিবিকে জানিয়েছেন বাংলাদেশের তিন সংস্করণের অধিনায়ক। মাঠের ক্রিকেট ছাপিয়ে তখন এটা নিয়েই ছিল তোলপাড়। তবে বিসিবির পক্ষ থেকে ব্যাপারটি নিশ্চিত করা হয়নি বা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি তারা। তবে গতকাল ফারুক আহমেদ যা বললেন, তাতেও ব্যাপারটি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেল। বিসিবির অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ায় না গিয়ে ক্রিকেটারদের বাইরে কথা বলা নিয়ে কিছুটা বিরক্তই মনে হলো সভাপতিকে। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন আমি জানি না আপনাদের সঙ্গে শান্ত কথা বলেছে কি না। কিন্তু আমার কাছে কোন তথ্য নেই। অনেক সময় হয় কী, এখন সোশাল সাইটের কোনো নিউজ তাদের এফেক্ট করতে পারে। খেলোয়াড়দের আসলে আরও সচেতন হওয়া দরকার। তারা আসলে যেটাই ফিল করুক, সেটা নিয়ে নরম্যাল প্রতিক্রিয়া দিয়ে যাওয়া উচিত। চেইন অব কমান্ড না হলেও, বাইরে কথা না বলে আমার মনে হয় অপারেশন্স, সিইও, প্রেসিডেন্ট বেশ কিছু পদক্ষেপ আছে, ওগুলো করা যেতে পারে। আমার মনে হয় খেলোয়াড়রা এ ব্যাপারে সচেতন হবে।
নেতৃত্ব ছাড়তে চাওয়া নিয়ে শান্ত তাকে কিছু বলেছেন কি না, তেমন প্রশ্নের জবাবে ফারুক আহমেদ বলেন এই মুহূর্তে তার সঙ্গে ওইভাবে কোনো কথা হয়নি। বরং সভাপতি নিজেও ব্যাপারটি নানা জায়গা থেকে শুনেছেন বলে দাবি করলেন। যদি কোন খেলোয়াড় মনে করে যে, সে ওই জায়গাটা চালিয়ে যেতে পারছে না, তাহলে সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। যদি এমন কোনো অনুরোধ আমাদের কাছে থাকে, আমিও শুনেছি আপনাদের মতোই, সেটা নিয়েও আমরা আলোচনা করব। তারা কিরকম চায় এবং কেন চায়। তিনি বলেণ সবচেয়ে সহজ অপশন হচ্ছে, কেউ যদি বলে আমি করতে চাই না, ‘থ্যাংক ইউ, চলে গেলাম। সবচেয়ে সহজ। কিন্তু আপনি যদি গভীরে যেতে চান তাহলে কেন করতে চাচ্ছে না, এর পেছনে আর কোনো কারণ আছে কি না, সেগুলো খুঁজে বের করা খুব জরুরি। এগুলো নিয়ে আলাপ করব তার সাথে। তিনি বলেন আমার সঙ্গে ওদের কথা হয় না। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিপিএলের দল করা, আরও অনেক ইস্যু, যেগুলো সামলাতে হচ্ছে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে একদিন মাত্র বসার সুযোগ হয়েছে। সেটাও ৮–১০ জন এসেছিল। সেটাও বিপিএল কেমন হবে না হবে, এসব নিয়ে। চট্টগ্রামে গিয়ে দল, কোচ, সবার সঙ্গে বসার চেষ্টা করব। তখন একটা কিছু আউটকাম আসবে। শান্ত সত্যিই নেতৃত্ব ছাড়তে চাইলে বোর্ডের পক্ষ থেকে বোঝানো হবে কি না বা দায়িত্বে থেকে যেতে । অথবা অনুরোধ করা হবে কি না। দেমন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে আগের কথাই বললেন বিসিবি সভাপতি। এই জিনিসগুলো যদি অফিসিয়ালি না আসে তাহলে বসলে তো বুঝতে পারব না। পত্রিকা পড়েতো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। যদি তার সঙ্গে বসি, তার যদি কোন সমস্যা থাকে, সে যদি চালিয়ে যেতে না চায় এগুলো না বসলে বলতে পারব না।
