দলের এই অবস্থার জন্য অনেক কারণ দেখছেন মুশতাক

স্পোর্টস ডেস্ক | বৃহস্পতিবার , ৩১ অক্টোবর, ২০২৪ at ৭:২৯ পূর্বাহ্ণ

পাকিস্তানের বিপক্ষে কি দুর্দান্ত এক সিরিজই না খেলল বাংলাদেশ। যেখানে কোন জয়ই ছিল না, হুট করে তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ পায় সিরিজ জয়ের স্বাদ। তাও প্রতিপক্ষের মাটিতে। কিন্তু পাকিস্তানে ওই ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর টানা তিনটি টেস্টে ধরাশায়ী বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টেও বেহাল দশা দলের। প্রথম ইনিংসে ৫৭৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ৩৮ রান তুলতেই বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলেছে চার উইকেট। ওরকম সিরিজ জয়ের পর কেন এমন দশা। উত্তরে বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ বলেন আপনার প্রক্রিয়াটা মনে রাখতে হবে ফলের চেয়ে বেশি করে। যখন আপনি আপনার লক্ষ্য ও ফলাফল পাবেন তখন প্রক্রিয়াটা ভুলে যাবেন। ভালো দল এসব ব্যাপার ধারাবাহিকভাবে করে। তারা ম্যাচ জয়ের প্রক্রিয়া মনে রাখে। কোচ হিসেবে আমাদের এটাই কাজ। তাদের প্রক্রিয়া মনে করিয়ে দেওয়া। ঢাকা টেস্টের পর সংবাদ সম্মেলনে মুশতাক আহমেদ বলেছিলেন বিশ্বাসের কথা। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের পর এসেও একই কথা বললেন বারবার। মুখে এতবার বললেও কাজে কেন বাস্তবায়ন করতে পারছেন না তার শিষ্যরা। তাহলে কি আত্মবিশ্বাসের কি কমতি আছে। উত্তরে মুশতাক বলেন, আমার মনে হয় না, তাদের আত্মবিশ্বাস কম। আমি যদি সৎ থেকে উত্তর দেই তাহলে বলতে হবে সম্ভবত প্রক্রিয়া অনুসরণের ঘাটতি আছে। প্রক্রিয়া হলো, পরিস্থিতি বুঝতে পারা। গেম অ্যাওয়ারনেসের কথাও বলব। কখন বল ছাড়তে হবে, কখন একটু দেখে খেলতে হবে, এই পাঁচ ওভার সাবধান থাকতে হবে। তাদের আত্মবিশ্বাসের কমতি দেখি না। পরিস্থিতি বুঝতে হবে। যত দ্রুত বুঝবে, আমি বিশ্বাস করি তারা তত দ্রুত শিখবে। তিনি বলেন আপনি কি একদিনে একটি গাছ বড় করতে পারবেন? পানি দিতে হবে, বিশ্বাস রাখতে হবে যে গাছটি বড় হবে। একজন মালি হিসেবে আমরা এটাই করতে পারি। কোচ হিসেবে আমরাও এটি করি। একদিনে গাছ বড় করতে পারবেন না। একদিন না একদিন, দ্রুত হোক অথবা দেরিতে, তারা ছায়াও দেবে ফলও দেবে।

এদিকে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং বিপর্যয় প্রসঙ্গে ক্লান্তিু অনেকটা দায়ী বলে মন্তব্য করেন মুশতাক। টানা দুই দিন ফিল্ডিংয়ের পর শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৮ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলার পেছনে ফিল্ডিংয়ের ক্লান্তি প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেণ তিনি। কিন্তু পেশাদার দল এভাবে ভাবতে পারে না। তাদের যতটা সম্ভব কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। চার উইকেট হারানো খুব বড় বিষয় না। একজন কোচের যেকোনো পরিস্থিতিতে বলতে হবে তাদের লড়াই করতে ও বিশ্বাস রাখতে। তবে বাংলাদেশের ব্যাটারদের স্কিলের ঘাটতি দেখছেন না স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক। তিনি বলেন ধৈর্যের মাত্রা আরও ভালো হতে পারে। আমার মতে টেস্ট ক্রিকেট হলো পরিস্থিতি বুঝে খেলার বিষয়। শেষের ৪০ মিনিট টেস্ট ক্রিকেটে এই ধাপটা আপনাকে পার করতে হবে যখন কঠিন সময় আসবে। আমার মতে সাদমান খুবই দুর্ভাগা ছিল। লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে গেল। এসব জায়গায় দল হিসেবে আমাদের উন্নতি করতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমালদ্বীপের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে জামাল ভুইয়াকে দলে পাননি কোচ
পরবর্তী নিবন্ধঅধিনায়কত্ব বিষয়ে শান্তর সাথে কথা বলতে চান বোর্ড সভাপতি