বাংলাদেশ এবং নেপাল। দুই দলই অপরাজিত থেকে উঠেছে ফাইনালের মঞ্চে। বাংলাদেশের তুলনায় গোল বেশি দিয়েছে নেপাল। এমনকি গ্রুপ পর্বে কোনো গোলই হজম করেনি স্বাগতিকরা। তবে শিরোপা লড়াইয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে ভীষণ সতর্ক নেপাল কোচ রাজেন্দ্রা তামাং। ইংলিশ কোচ পিটার জেমস বাটলারের অধীনে বাংলাদেশ ইংলিশ ঘরানার ফুটবল খেলছে বলে মনে করেন তামাং। নেপাল দলের সতর্কতার কারণও ফাইনালের আগে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জানান নেপাল কোচ। পেছন ফিরে তাকিয়ে দুই বছর আগের ফাইনালে ৩–১ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচের তেতো স্মৃতি আওড়ালেন তিনি। বলেন, ইংলিশ কোচ পিটার জেমস বাটলারের অধীনে বাংলাদেশের খেলার ধরণ বদলে যাওয়ার কথাও। ‘গতবার আমরা তাদের বিপক্ষে ফাইনাল খেলেছিলাম, আমাদের কিছু ট্যাকটিক্যাল ভুল হয়েছিল বলে হেরেছিলাম। আশা করি, এবার সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না। অতীত অতীই। তবে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েছি আমরা। ইংলিশ কোচের অধীনে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল, তাদের খেলার স্টাইল ইংলিশদের মতো। তাই এটা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে আমাদের। ঘরের মাঠে খেলা বলে যদিও সমর্থকদের পাশে পাওয়ার সুবিধা আমাদের পক্ষে থাকবে, কিন্তু টেকনিক্যালি এবং ট্যাকটিক্যালি এগিয়ে থাকা বাংলাদেশকে নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে আমাদের।’ চলতি আসরে ভারতের বিপক্ষে সেমি–ফাইনালে এসে প্রথম গোল হজম করেন আঞ্জিলা তুম্বাপো সুব্বা। অবশ্য টাইব্রেকারের আগে অধিনায়কের বদলে পোস্টে দাঁড়ান বদলি গোলরক্ষক অঞ্জনা রানা মাগার। একটি শট সেভও করেন তিনি। ফাইনালে যথারীতি পোস্ট আগলে রাখার পাশাপাশি নেতৃত্বের ভার থাকবে আঞ্জিলার কাঁধেই। ভারত ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে নেপাল অধিনায়ক বাংলাদেশের বিপক্ষে ফাইনালে পাশে চাইলেন সমর্থকদের। ‘ভারতের বিপক্ষে সেমি–ফাইনালে অভাবনীয়ভাবে সমর্থকদের পাশে পেয়েছি আমরা। গ্যালারিতে, গ্যালারির বাইরেও তারা আমাদের সমর্থন দিয়ে গেছেন। যখন রেখা লাল কার্ড দেখল, আমরা ১০ জনের দলে পরিণত হলাম, কিন্তু সমর্থকরা পাশে থাকায় আমাদের কখনও মনে হয়নি আমরা ১০ জন নিয়ে খেলছি। মনে হয়েছিল ভারতের ১১ জনের বিপক্ষে আমরাও ১১ জন খেলছি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ফাইনাল নিয়ে আমরা দারুণ অনুপ্রাণিত।’ গতবারের মতো এবারও ফাইনাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে দশরথ স্টেডিয়ামে। আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় মুখোমুখি হবে দুই দল।