চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে আবারও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। চাক্তাই–খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা বলছেন, দেশের স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হলেও উচ্চ শুল্কের কারণে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। তবে ভারতীয় পেঁয়াজের তুলনায় মিশর ও পাকিস্তানি পেঁয়াজের দাম কম রয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পেঁয়াজের বাজার বাড়ার মূল কারণ হচ্ছে ভারতে পেঁয়াজের বুকিং রেট বেড়ে যাওয়া। তবে পেঁয়াজের সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। এছাড়া ভারত ছাড়াও মিশর ও পাকিস্তান থেকেও পেঁয়াজ আসছে। গতকাল চাক্তাইয়ের পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০২ টাকায়। এছাড়া মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা এবং পাকিস্তানি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। অপরদিকে খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১১৫ টাকা এবং মিশর–পাকিস্তানি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা।
পেঁয়াজের আড়তদাররা বলছেন, চাক্তাই খাতুনগঞ্জের আড়তে ব্যবসায়ীরা কমিশনের ভিত্তিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেন। আমদানিকারকরা যে দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বলেন, আড়তদাররা সেই দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেন। আড়তদারদের পক্ষে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের দেশে পেঁয়াজের দরবৃদ্ধির সাথে সাথে প্রশাসনের লোকজন আড়তে অভিযান পরিচালনা করে। এতে আতঙ্ক তৈরি হয়। অথচ আড়তদাররা পেঁয়াজ আমদানি করেন না। বর্তমানে পেঁয়াজের চাহিদা কমার কারণে এখন দামও কমছে। আসলে পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য, চাইলে মজুদ রাখা যায় না।
চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ফোরকান দৈনিক আজাদীকে বলেন, পেঁয়াজের দাম আবারও বাড়তে শুরু করেছে। আসলে আমাদের দেশে পেঁয়াজের বাজরের দাম বাড়া কিংবা কমা নির্ভর করে চাহিদা ও যোগানের ওপর। বর্তমানে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে ঠিক, তবে শুল্ক বেশি হওয়ার কারণে আমদানিতে খরচও বেশি পড়ছে। এটির প্রভাবে দাম বাড়ছে। তবে আশা করি সরবরাহে বাড়লে দাম কমে যাবে।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস দৈনিক আজাদীকে বলেন, পেঁয়াজের বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। তবে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানি ব্যয় বেড়েছে, তাই দামের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে।
ইমরান হোসেন নামের একজন ভোক্তা জনান, ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করেন। ব্যবসায়ীরা যেন কোনোভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দামবৃদ্ধি করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনকে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে।