চট্টগ্রাম–কাপ্তাই সড়কসহ রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন সড়কে বেড়েছে মরা গাছের সারি। এছাড়া অনেক গাছ বিপজ্জনকভাবে সড়কের উপর হেলে রয়েছে। প্রায়শই গাছগুলো সড়কের উপর ভেঙে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন বন্ধ থাকে। এছাড়া এসব গাছে প্রায়শই জানমালেরও ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও গাছগুলো অপসারণে কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা। এবার গাছগুলো অপসারণে ইউএনওকে লিখিতভাবে আবেদন করেছেন ওমর ফারুক নামে এক যুবক।
জানতে চাইলে ওমর ফারুক বলেন, কাপ্তাই সড়কের মরিয়মনগর চৌমুহনী থেকে চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান পর্যন্ত অসংখ্যা বড় মরা গাছ রয়েছে। বিগত দিনে গাছ পড়ে সড়কের দুই পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট সৃষ্টি হয়। গাছ ভেঙে পড়ে যানবাহনের ক্ষয়ক্ষতি ও মানুষ আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এসব যদি কেটে সরিয়ে দেয়া যায় তাহলে মানুষের জানমাল রক্ষা পাবে। জনস্বার্থে দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে বিষয়টি নিজে গিয়ে ইউএনও মহোদয়কে জানিয়েছি। আশা করি সংশ্লিষ্টরা এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উত্তর চট্টগ্রামের সবচেয়ে ব্যস্ততম চট্টগ্রাম–কাপ্তাই সড়ক, উত্তর রাঙ্গুনিয়ার দুটি প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম মরিয়মনগর ডিসি সড়ক ও পারুয়া ডিসি সড়ক এবং দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ায় যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম গোডাউন থেকে সৈয়দ আলী সড়ক ও কালিন্দী রানী সড়কে রয়েছে দুই পাশে কয়েক শতাধিক মরা গাছ। সামান্য বাতাসে প্রধান এই পাঁচ সড়কের মরা গাছের ঢালপালা ভেঙে পড়ে। অনেক স্থানে এসব গাছের অর্ধেক কিংবা অনেক ক্ষেত্রে পুরো গাছ ভেঙে রাস্তায় পড়ে রয়েছে। কোথাও আবার সড়কের মরাগাছের পাশাপাশি অনেক ভালোগাছও সড়কে উপড়ে কিংবা ভেঙে পড়তে দেখা গেছে। কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার তাপবিদ্যুৎ থেকে চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান পর্যন্ত বিশালাকৃতির একাধিক মরাগাছ দেখা গেছে। একইভাবে একাধিক বিশালাকৃতির গাছ সড়কের উপর ঝুঁকে পড়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই সড়কগুলো নির্মাণের পর এর দুই পাশে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় কয়েক হাজার শিশু, রেইনট্রি ও মেহগনির চারা রোপণ করা হয়। কিন্তু ছয়–সাত বছর ধরে গাছগুলো মরে যাচ্ছে। মরা গাছগুলো অপসারণ না করায় সেগুলোর ভেতরের অংশ পোকা খেয়ে ফেলেছে। ফলে মাঝেমধ্যেই এসব ফাঁপা গাছের ডালপালা সড়কের ওপর ভেঙে পড়ে। প্রতিবছর এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলেও এই নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কোন উদ্যোগ দেখা যায় না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা নাহিদ হাসান এ ব্যাপারে বলেন, গাছগুলো অপসারণে উপজেলার মাসিক সভায় ইতোমধ্যেই রেজুলেশন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সড়ক কর্তৃপক্ষ অপসারণের উদ্যোগ নিলে আমরা নিয়ম অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, মরা গাছগুলো অপসারণ করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।