দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার টেস্ট সিরিজ। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে প্রথম কোন বিদেশী দল খেলতে আসে। তার আগে নিরাপত্তার অজুহাতে নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা দল বাংলাদেশ সফরে আসার আগে সেখাকার একটি নিরাপত্তা দল সফর করে দুই টেস্টের ভেন্যু ঢাকা এবং চট্টগ্রাম। পরে দলটি বাংলাদেশে আসে। এরই মধ্যে মিরপুরে প্রথম টেস্ট ম্যাচটি খেলেও ফেলেছে। কাল থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্ট। তাই নিরাপত্তার বিষয়ে একচুল পরিমানও ছাড় দিতে নারাজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাইতো গতকাল সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী দুটি পৃথক মহড়া সম্পন্ন করেছে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বিশ্ব ব্যাপি এখন খেলাধুলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাটাকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাইতো চট্টগ্রামে বিদেশী ক্রিকেটারদের যেন কোন ধরনের নিরাপত্তার শংকা না থাকে সে জন্য তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মাঠে খেলা চলাকালীন ক্রিকেটারদের উপর কোন হামলা হলে তাদের কিভাবে মাঠ থেকে নিরাপদে বের করে আনা যায় কিংবা হোটেল থেকে মাঠ এবং মাঠ থেকে আবার হোটেলে ফেরার পথে কিভাবে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায তা যেন পরখ করলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতকাল সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল কিভাবে ক্রিকেটারদের বের করে আনবেন তারই মহড়া সম্পন্ন করে। আর দুপুরে পুলিশ সোয়াত দল তাদের আরেকটি মহড়া সম্পন্ন করে। বাংলাদেশ দলের অনুশীলন চলাকালে মাঠের সাইডস্ক্রিনের বাইরে এই মহড়া সম্পন্ন করে পুলিশ এবং সোয়াত দল। একইভাবে খেলোয়াড়দের যাতায়াতের পথ কিভাবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে রাখা যায় সে পরিকল্পনা হাতে নিয়ে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই টেস্ট চলাকালে দেশের ভাবমুর্তির যেন কোন ধরনের ক্ষতি না হয় এবং ক্রিকেটের উপর যেন তার কোন ধরনের প্রভাব না পড়ে সে জন্য সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, সোয়াত সহ সবাই একযোগে কাজ করছেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ নিজেই এই মহড়া প্রত্যক্ষ করেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দেশের ভাবমুর্তি সবার উপরে। এই ক্রিকেট ম্যাচকে ঘিরে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবাই মিলে কাজ করলে এই টেস্ট ম্যাচ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভেতরে এবং বাইরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এমনকি দু দলের ক্রিকেটাররা যে হোটেলে রয়েছে সে হোটেলের নিরাপত্তায় করা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে একটি সুন্দর এবং সুষ্ঠ ম্যাচ উপহার দেওয়াটাই সবার লক্ষ্য। যাতে সফরকারী দল বলতে পারে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা অত্যন্ত ভাল এবং সেখানে খেলা নিরাপদ।