পার্থিব ও লৌকিক জীবনকে অসীমলোকে উন্নীত করার সাধনাকে সুফীবাদ বলা হয়। ইসলামে কোরআন ও হাদিসের জাহেরী ও বাতেনি শিক্ষাই সুফী সাধনার মূল ভিত্তি। পবিত্র কোরআনে এক শ্রেণির আয়াত রয়েছে, যেগুলো এলমুল মারিফাত বা মরমী ভাব প্রকাশ করে। এ আয়াতগুলো নাযেল হওয়ার মধ্য দিয়ে সুফীবাদের সূত্রপাত হয়। এক সময় এই মরমী সাধনার স্থল হয়ে উঠেছিল ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহৎ বাংলার নানা স্থান। মধ্যযুগে এর ব্যাপকতা নানা সন্তজন দ্বারা সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় বাংলার হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মরমী বাউল ফকিরি সাধনার এক উচ্চ ভাবাদর্শের ধারার প্রচলন ঘটে সংগীতের ধারায়, মূলত তা সাধন সংগীত রূপে চিহ্নিত হয়ে লোকসংগীতে বিশেষ মাত্রা যুক্ত করে। কখনো বৌদ্ধ ধর্মের হীনযানপন্থা অবলম্বনে এর সূত্রপাত, সাহজিয়া সাধনারূপে তা প্রসার লাভ করে। এর সংগে চৈতন্য চরিতামৃতের আদর্শ, শক্ত ভাব ধারার তন্ত্রসাধন রীতি এবং ক্রমে সুফী সাধনা তত্ত্বের মেল বন্ধনে আধ্যাত্মবোধযুক্ত গানের ধারার সংমিশ্রণে এর পুষ্টি ঘটে যা দেহকেন্দ্রিক সাধনার এক অপূর্ব নিদর্শন। আউল, বাউল, মারফতি, মুর্শিদী, ফকিরি, ইসলামী গুরু বাদী ইত্যাদি গুরুর নির্দেশেই গোপন সাধনার এই ধারাটি নিয়ন্ত্রিত ছিল।
সে যাই হোক। আমরা মরমী ও সুফী সাধনার উদ্ভব, সাধনা, বিস্তৃতির মৌলিক কিছু বিষয়ে বিবিধ গ্রন্থ ও গ্রন্থকারের অভিমত, উক্তি, সংজ্ঞা ও বিবরণ এবং এ বিষয়ে তাদের অনুভূতি, ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের সামান্য তথ্য ও মতামত উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস সংকলিত, সুবোধ চন্দ্র সেনগুপ্ত এবং সূধাংশু কুমার সেনগুপ্ত কর্তৃক সংশোধিত, সামসাদ ইংরেজি বাংলা অভিধান, সংশোধিত ও বর্ধিত সংকলন, পুনঃমুদ্রিত, সাহিত্য সামসাদ, কোলকাতা, পৃ– ৭১২ তে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় এটি মরমীবাদের একটি সংক্ষিপ্ত ও শ্রেষ্ঠ সংজ্ঞা। তাদের মতে,
‘মরমীবাদ’ ইংরেজী মিস্টিসিজম শব্দের বাংলা রূপান্তর। ‘মরমী’ বলতে অস্পষ্ট গূঢ়– অর্থ পূর্ণ গুপ্ত রহস্যমণ্ডিত হৃদয় দ্বারা অনুভূত বিষয় বুঝায়’। অন্যদিকে এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, ভলিউম–৭, ১৫ তম সংকলন, উইলিয়াম বেটন পাবলিশার্স, শিকাগো এন্ড লন্ডন, ১৯৭৩– ১৯৭৪, পৃ,১৫৩ তে মরমীবাদের তাৎপর্য ও ব্যাখ্যা এভাবে আছে, মরমীবাদ অবহিত হবার পূর্বে ‘মরমী’ কথাটির তাৎপর্য অনুধাবন আবশ্যক। ‘মরমী’ বলতে এমন একটি বিষয়কে বুঝায়, যেটি অস্পষ্ট, গূঢ়– অর্থ পূর্ণ, গুপ্ত রহস্যমণ্ডিত এবং হৃদয় দ্বারা অনুভূত বিষয়।
আবার কাজী আবদুল ওদুদ, ব্যবহারিক শব্দকোষ, প্রথম সংস্করণ, প্রেসিডেন্সি লাইব্রেরি, কোলকাতা, পৃ,৭৮৩ তে বয়ান করেছেন ‘মরমী’ একজন ব্যক্তিকেও বুঝায়, যে ব্যক্তি স্রষ্টার সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম। একজন ব্যক্তিকেও মরমী বলা হয়। অর্থাৎ পরম সত্যের সাথে যার মর্ম বা অন্তকরণ সংযুক্ত তিনিই মরমী এবং দার্শনিক প্রমাণাদি দ্বারা নির্ণীত তার সিদ্ধান্ত বা মানসতত্ত্ব মরমীবাদ নামে অভিহিত।
মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান, ব্যঞ্জনবর্ণ অংশ, দ্বিতীয় মুদ্রণ, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, ১৯৭৪, পৃ,৩৬৯ এ তিনি যুক্ত করেছেন। আঞ্চলিক ভাষায় ‘মরমী’ অর্থে ‘মরমীয়া’ কথাটি প্রচলিত। ‘মরমীয়া’ সেখানে পবিত্র হৃদয় বিশিষ্ট সমবেদনা অনুভবকারী মহাপ্রাণ ব্যক্তির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যজ্ঞাপক একটি মায়াময় শব্দ।
আশুতোষ দেব, ছাত্রবোধ অভিধান, প্রথম সংস্করণ, দেব সাহিত্য কুটির, কোলকাতা, ১৩৯৬ বংগাব্দ, পৃ,৩২ এ উল্লেখ করেছেন, “মনে হয় অতীন্দ্রিয় এ প্রতিশব্দ দ্বারা ‘মরমী’ শব্দ টি অধিকতর তাৎপর্যময় হয়ে ওঠে। কেননা ইন্দ্রিয়ের অগম্য বা জ্ঞানের অবিষয়ীভূত যা কিছু, তা– ই অতীন্দ্রিয়, মর্ম দ্বারা উপলব্ধি ব্যতীত যার স্বরূপ ও বৈশিষ্ট্য জানা সম্ভব নয়”।
গোলাম মোস্তাফা, আমার চিন্তা ধারা, দ্বিতীয় মুদ্রণ, আহমদ পাবলিশিং হাউস ঢাকা, ১৯৬৮, পৃ,১২৯ আরো এটু অগ্রসর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘বস্তুত মর্ম দ্বারা অনুভৃত তত্ত্ব বলে’ ‘মরমীবাদ’ ইন্দ্রিয়াতীত, অব্যক্ত, রহস্যলোকের গুহ্যবস্তু– জ্ঞানাতীত, চিন্তাতীত, আত্মিক বিষয়‘।
আমিনুল ইসলাম, প্রাচীন ও মধ্যযুগের পাশ্চাত্য দর্শন, দ্বিতীয় প্রকাশ, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, ১৯৮১, পৃ,৩৭৪ এ সংযুক্ত করে বলেছেন ‘প্রেম মিশ্রিত ধ্যান ও স্বজ্ঞা বা বোধি দ্বারা পরম সত্তার সাথে যোগাযোগ স্থাপনের অভিজ্ঞতাই ‘মরমীবাদ’।
খান বাহাদুর আব্দুল হাকিম (সম্পাদিত), ১৯৭৩, বাংলা বিশ্বকোষ, প্রথম সংস্করণ, নওরোজ কিতাবিস্তান, ঢাকা, পৃ–৬৮৪, এ উল্লেখ আছে, মুসলিম দর্শনে মরমীবাদের তাৎপর্য অত্যন্ত গভীর। ইসলামে নিহিত ‘মরমীবাদ’ বস্তুত ‘সুফিবাদ’ নামেই পরিচিত। আর ইসলামী সুফীবাদই বিশ্ব–মরমীবাদের শ্রেষ্ঠতম বিকাশ’।
আর.এ.নিকলসন. ১৯৭৪, দ্যা মিস্টিকস অব ইসলাম, পুনঃমুদ্রিত সংকলন, রাউথলেজ এন্ড মেগান পাউল, লন্ডন, পৃ–৩ এ উল্লেখ আছে, “ইউরোপের বিভিন্ন ভাষায় প্রচলিত মিস্টিক (মরমী) কথাটি আরবী পার্শি ও তুর্কী এই তিনটি ভাষায় ‘সুফী’ শব্দ দ্বারা বুঝানো হয়। তবে মিস্টিক ও সুফি সম্পূর্ণ সমার্থক নয়। সুফী শব্দের একটি ধর্মীয় তাৎপর্য ও সীমিত ব্যবহার আছে। এ অর্থে শুধু ঐ সব মরমীদের বুঝায় যাঁরা ইসলামের অনুসারী”।
আব্দুল হক ফরিদী প্রমুখ(সম্পাদিত), ১৯৮২, সংক্ষিপ্ত ইসলামী বিশ্বকোষ, প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ঢাকা, পং, ৪৯৪ তে উল্লেখ করেছেন, আভিধানিক অর্থে আরবী ‘সুফ’ থেকে ‘সুফি’ শব্দের উৎপত্তি। সুফ অর্থ পশম। এর নিকটতম শব্দ ‘তাসাউফ‘ যার অর্থ পশমী বস্ত্র পরিধানের অভ্যাস। মরমী তত্ত্বের সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত করার কাজকেও বলা হয় ‘তাসাউফ’। এরূপ সাধনায় আত্মসমর্পিত ব্যক্তি ইসলামী পরিভাষায় ‘সোফি’ নামে অভিহিত। ‘সুফী’ শব্দের উদ্ভব সম্পর্কে অন্য মতও আছে। মদিনায় ইসলাম প্রচারের প্রাথমিক যুগে মদিনার মসজিদ সংলগ্ন নির্জন স্থানে অবস্থানরত সংসার নির্লিপ্ত আল্লাহ্–প্রেমিক একদল লোক ‘আহলুল সাফ্ফা’ নামে পরিচিত হন। এঁদেরই উপরে আরোপিত এই ‘সাফূফা’ শব্দ থেকে ‘সুফি’ শব্দের উদ্ভব বলে ধরা হয়। কেউ কেউ ‘সাফা’ পবিত্রতা শব্দ থেকে ‘সুফী’ শব্দ বুৎপন্ন হয়েছে বলে মনে করেন। গ্রীক ভাষায় ‘সোফিস্ট’ কথাটির পরিবর্তিত রূপ ‘সোফিয়া’ থেকে ‘সুফী’ শব্দটি এসেছে বলেও কারো কারো ধারণা”। সাইদুর রহমান, ১৯৮৪, মুসলিম দর্শন ও সংস্কৃতি, আমিনুল ইসলাম (সম্পাদিত), প্রথম প্রকাশ, বাংলা একাডেমী ঢাকা পৃ ১৭১ এ উল্লেখ করেছেন, ‘সুফীবাদের উদ্ভবের মূল কারণ স্বরূপ ভারতীয় বেদান্ত দর্শন ও বৌদ্ধ দর্শনের প্রভাবের কথা উল্লিখিত হেয় থাকে। কারো কারো মতে নব্য প্লেটোবাদী খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচারকদের ধর্মীয় অনুপ্রেরণা সুফীবাদ উদ্ভবের মূল কারণ। কেউ কেউ বলেন যে, পারসিকদের ভাববাদী চিন্তা ধারা থেকেই সুফীবাদের জন্ম। অন্যদিকে আল কোরআন প্রকৃতপক্ষে সুফীবাদের মূল উৎস–এ ধরনের যুক্তি ও উত্থাপিত হতে দেখি‘। আর. এ. নিকোল, ১৯২৩, দ্যা আইডিয়া অব পারসোনালিটি ইন সুফীসম, প্রথম সংস্করণ, কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস, লন্ডন, পৃ, ৩,৪,৩৭ এ উল্লেখ করেছেন, পাশ্চাত্য গবেষকদের মতেও সুফীবাদের শ্রেষ্ঠজতম উৎস ঐ মহাপবিত্র গ্রন্থ ‘আল–কোরআন।
সাইদুর রহমান, প্রাগুক্ত পৃ ১৭৬ এ বলেন,‘বিদ্ধানেরা মনে করেন, কোরআনের তত্ত্বপূর্ণ আয়াত সমূহ সন্ন্যাসবাদী ও ভক্তিবাদী ভাবধারা বিকাশের প্রধান সহায়ক ছিল। পরবর্তীকালে ঐ ভাবধারা অনুধ্যানমূলক ও সর্বেশ্বরবাদী রূপ ধারণ করে। একেই ভারতীয় বৈদান্তিক সর্বেশ্বরবাদের প্রভাব হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। হযরত মুহাম্মদের (৫৭০–৬৩২) জীবিতকালেই কিছুসংখ্যক মুসলমান আল্লাহ্ ও তার রসুলের প্রেমে আত্মনিবেদিত হয়ে ওঠেন। এদেরই মর্ম চিন্তাকে ইসলামের আদি পর্বে সন্ন্যাসী ও ভাববাদী জীবনধারার মূলে ক্রিয়াশীল হতে দেখা যায়। এটাই হয়তো খ্রিষ্টান সন্ন্যাসবাদ ও পারসিক ভাববাদ প্রভাবিত জীবন–দর্শন হিসেবে ব্যাখ্যাত হয়েছে। তবে পরোক্ষভাবে মানি, মজদকি, প্লোটিনাস ইত্যাদি প্রভাব সুফীবাদে পড়েছে, একথা সত্য। তাই বলে কোন একক মতবাদ এককভাবে সুফি– দর্শন উৎপত্তির জন্য দায়ী এ কথা বলা যায় না‘।
R.A.Nicholson আরো বলেন, ‘Similarity of two doctrines does not prove that one is derives from the other. Both may be independent growths and results of a lite cause.’
কেনেথ ডব্লিউ মরগান (সম্পাদিত), ১৯৬৮, ইসলাম ও আধুনিক চিন্তাধারা, মুয়াযযাম হুসায়ন খান, আবদুল গফুর, ইকবাল হাসান, সৈয়দ আবদুল মান্নান প্রমূখ (অনুদিত), দ্বিতীয় প্রকাশ, মদিনা পাবলিকেসন্স, ঢাকা, পৃ,১৬০–১৬৭ তে উল্লেখ আছে, ‘উৎপত্তির কারণ যাই হোক। সুউচ্চ ‘মরমী’ আদর্শ সুফিবাদকে খুব শীঘ্র জনপ্রিয় করে তোলে। সুফীবাদের মূল তত্ত্ব পর্যালোচনা করলে একথা জানা যায়। প্রথম পর্যায়ে আল্লাহ্র মহত্ত্ব ও দয়াশীলতা অপেক্ষা তাঁর ক্রোধ ও প্রতিহিংসা দ্বারাই মুসলিম–মানস বেশি অভিভূত ছিল। আল্লাহ্ কে তখন কঠোর স্বৈরাচারী, অন্ধ আনুগত্য আদায়কারী এবং মানুষের অনুভূতি ও আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতি উদাসীন এক পরাক্রমশালী সত্তা বলে ভাবা হত’।
সাইদুর রহমান আরো বলেন, ‘সুফীবাদ মানুষের আবেগাত্মক জীবন থেকে আল্লাহর এ ধরনের দূরবর্তীতা সইতে পারেনি। সুফীবাদই আল্লাহ্ এবং মানুষের মধ্যে অন্তরংগ সম্পর্ক স্থাপন করেছে। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনই সুফীবাদের মূল তত্ত্ব। সুফী রাবেয়া বসরীর আল্লাহর প্রতি অতি প্রেম একটি অতুলনীয় উদাহরণ। আল্লাহর প্রেম তাঁকে এমন গভীরভাবে আবৃত ও অভিভূত করেছিল যে অন্য কোনো ব্যক্তি বা বিষয়ের প্রতি গভীর ভালোবাসা অথবা ঘৃণার ভাব পোষণ করার অনুভূতি তাঁর হৃদয়ে ছিল না‘।
মেরী বয়েচ, ১৯৭৯, জোরাস্থ্রীয়ানস, প্রথম সংস্করণ, রাউথলেজ এন্ড মেগান পউল, লন্ডন, এ বলেন, ‘মরমীবাদের শ্রেষ্ঠতম বিকাশ এই সুফীবাদ। এর গতিও তাই দুর্বার। মরুময় আরব দেশে এই সুফীবাদের জন্ম। সেখান থেকে এ মতবাদ উপস্থিত হয় গোলাপ–কুঞ্জময় পারস্যে।
জে, এ, বয়লী, সম্পাদিত, ১৯৬৮, দ্য কেমব্রিজ হিস্ট্রি অব ইরান, ভলিউম–৫, প্রথম সংস্করণ, সিন্ডিকস অব দ্যা কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস, লন্ডন, পৃ– ৪৫১ এ উল্লেখ আছে, ‘পারস্যের ধর্মীয় চিন্তায় মরমী ভাবধারা বৃদ্ধির সাথে সাথে সুফী সাধকদের ভূমিকাও সেখানে মূখ্য হয়ে দাঁড়ায়। ভারতীয় উপমহাদেশে এ মতের আগমন, প্রভাব ও প্রসার এ গতিরই একটি স্বাভাবিক প্রবাহ।
তথ্য সূত্র: ১। মরমী কবি পান্জুশাহ: জীবন ও কাব্য, ড. খোন্দকার রিয়াজুল হক, বাংলা একাডেমী, ঢাকা,। ২। মরমী কবি রকীব শাহ : জীবন ও সংগীত, খোন্দকার রিয়াজুল হক, বাংলা একাডেমী ঢাকা। ৩। লোকসংগীতে আধ্যাত্মিকতা ও বিবিধ অনুসংগ, ইকবাল হায়দার, কালধারা প্রকাশনী, চট্টগ্রাম। ৪। বাংলার বাউল ফকির, সুধীর চক্রবর্তী সম্পাদিত, পুস্তক বিপনি, কোলকাতা। ৫। সংগীতের সামাজিক ইতিহাস, স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত, অধুনা জলার্ক পরিষদ প্রকাশিত, কোলকাতা। ৬। বাউল বৈষ্ণব সুফী, শরদিন্দু ভট্টাচার্য, রোদেলা প্রকাশক, ঢাকা। ৭। সাহিত্যতত্ত্ব, মাহবুবুল আলম, খান ব্রাদার্স এন্ড কোম্পানী, ঢাকা। ৮। সুফীফাদ, অধ্যাপক আব্দুল মালেক নূরী, এডর্ন পাবলিকেশন, ঢাকা।
লেখক : প্রাবন্ধিক, সংগীত শিল্পী