দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা এবং দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করায় বিএনপি ও দলটির অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন– নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এস কে খোদা তোতন ও খুলশী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম। এর মধ্যে গতকাল রোববার তোতনকে বহিষ্কার করে দেয়া দলীয় চিঠিতে স্বাক্ষর করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এছাড়া শাহ আলমকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত দেন নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু।
তোতনের বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে দখল, সন্ত্রাস, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার নানা অনাচারের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তাই তাকে প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। বহিষ্কারের বিষয়টি কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ–দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ মুনির হোসেন নিশ্চিত করেন।
শাহ আলমের বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তাই তাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলীয় সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক এম আবু বক্কর রাজু।
জানা গেছে, গত শনিবার রাত ৮টা দিকে নগরের খুলশী থানার সেগুনবাগানে আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা ওমর ফারুক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শাহ আলমের অনুসারিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ২০ জন আহত হন। এর মধ্যে ফারুক তোতনের অনুসারি বলে বলে পরিচিত।