ফটিকছড়ি সদরের সদা হাস্যোজ্জ্বল তরুণ টগবগে যুবক ওমর আব্বাস উদ্দিন চৌধুরী। গত ২দিন ধরে ফেসবুকজুড়ে শুধুই আব্বাসের জন্য দোয়া কামনা করে পোস্ট দিয়েছে তার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় স্বজন প্রতিবেশীরা।
এমনকি তার সাথে অপরিচিত ব্যক্তিরাও তার জন্য মনভরে দোয়া করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে, হাসপাতালের বাইরে মাটিতে বসে দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে তার জীবন ভিক্ষা চেয়ে হাউমাউ করে কান্না করছিল বন্ধু আর স্বজনরা। তবে এতকিছুর পরেও আব্বাস কারো ডাকে সাড়া দেয়নি, আব্বাস আর ফিরেনি। সবাইকে কাঁদিয়ে পারাপারে পাড়ি দিলেন সে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামস্থ পার্কভিউ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে আব্বাস। এর আগে গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের পাইন্দং তাজুর ঘাটা এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয় সে।
আব্বাসের বন্ধু আরমানসহ অন্যাদের সাথে কথা বলে জানা যায়- ঘটনার দিন আব্বাস এবং মিজান ঘুরে ফিরে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ির দিকে আসছিল। আসার পথিমধ্যে তাজুর ঘাটা নামক এলাকায় তাদের দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের কিছুদূর সামনে আরেকটি মোটরসাইকেল সড়কে চলে আসে। ওই গাড়িটিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় আব্বাসদের গাড়ির পেছনে ওই গাড়ির ধাক্কা লাগে।
এতে আব্বাসের মোটরসাইকেল উল্টে সে দূরে ছিটকে পড়ে। এতে তার মাথায় এবং হাতে গুরুতর আঘাত পায়। এরপর সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে প্রথমে সাধারণ চিকিৎসা, অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আইসিইউ সর্বশেষ লাইফ সাপোর্টে দেয়ার পর সে মৃত্যুবরণ করে।
নিহত ওই যুবক ফটিকছড়ি পাইন্দং ইউপির ফকির মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ির বেলাল চৌধুরীর বড় ছেলে। তবে সে ছোট থেকে বড় হয়েছে নানার বাড়ি ফটিকছড়ি পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডের হযরত মৌলানা আসমত উল্লাহ শাহ (রহ.) প্রকাশ মৌলবী বাড়িতে।
তার এমন মৃত্যুতে পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এখন ফেসবুকজুড়ে এ এলাকায় শুধুই আব্বাসের জীবন্ত সে ছবিগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে আব্বাস আর নেই।