দেশের শিশুসাহিত্যিকদের সরব উপস্থিতিতে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শেষ হলো বাংলাদেশ শিশুসাহিত্য একাডেমি আয়োজিত দুইদিনব্যাপী শিশু সাহিত্য উৎসব। গতকাল শনিবার সমাপনী দিনে ছিল শিশু সাহিত্য সম্মাননা প্রদান, আবৃত্তি প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ, স্বরচিত ছড়া ও কবিতা পাঠ। সন্ধ্যা ৭ টায় সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষাবিদ সাহিত্যিক অধ্যক্ষ ড. আনোয়ারা আলম। এ বছর বাংলাদেশ শিশুসাহিত্য একাডেমী সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন ছড়াকার মাহমুদউল্লাহ, শিশু সাহিত্যিক আহমেদ জসিম, ছড়াকার ইফতেখার মারুফ। এতে আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন খ্যাতিমান শিশু সাহিত্যিক সুজন বড়ুয়া, কবি সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার, শিশু সাহিত্যিক অরুণ শীল, শিশু সাহিত্যিক রমজান মাহমুদ, অধ্যক্ষ মোঃ মাজহারুল হক। সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন কবি ও গীতাকার জসিম উদ্দিন খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আবৃত্তিশিল্পী ও উপস্থাপক আয়েশা হক শিমু। এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হয় আবৃত্তি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর রীতা দত্ত। আলোচক ছিলেন ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, শিক্ষাবিদ তরুণ কান্তি বড়ুয়া, লায়ন জাহাঙ্গীর মিঞা, স্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির, প্রাবন্ধিক রেজাউল কমির স্বপন, শিক্ষাবিদ মাজহারুল হক, শিপ্রা দাশ। সূচনা বক্তব্য রাখেন সংগঠক এস এম আবদুল আজিজ।
সভায় কবি সুজন বলেন, শিশুসাহিত্যকরা শিশুর মনোজগতকে সমৃদ্ধ করে। তারা শিশুদের পরম বন্ধু হিসেবে শিশুসাহিত্য রচনায় সচেষ্ট থাকে। তিনি আরো বলেন, সাহিত্য কর্মীরা নানা প্রতিকূলতার কথা ভেবে যেখানে তটস্থ সেখানে চট্টগ্রামে এই সুন্দর আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ শিশু সাহিত্য একাডেমী প্রথাগতভাবে এ বছরও ৩ জন গুণী শিশুসাহিত্যিককে সম্মাননা প্রদান করছে। এজন্য আমি বাংলাদেশ শিশুসাহিত্য একাডেমীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সম্মাননাপ্রাপ্তদের জানাই আন্তরিক অভিবাধন। সাহিত্য চর্চাকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে পুরস্কার ও সম্মাননার গুরুত্ব অপরিসীম। যদিও কবি–লেখকরা পুরষ্কার– সম্মাননার জন্য লেখেনা। তবুও এ ধরণের স্বীকৃতি তাদের ভবিষ্যৎ সৃষ্টির জ্বালানি হিসেবে কাজ করে।
বাংলাদেশ শিশুসাহিত্য একাডেমি পরিচালক রাশেদ রউফের সঞ্চালনায় ছড়াকার উৎপলকান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও কবি সৈয়দা সেলিমা আক্তারের সূচনা বক্তব্যে ছড়া, কবিতা পাঠ ও আবৃত্তিতে অংশগ্রহণ করেন জাবীদ মাইন্উদ্দীন, জাহাঙ্গীর আজাদ, জাহানারা মুন্নী, জায়তুন্নেছা জেবু, জাহেদুল ইসলাম, জি এম জহির উদ্দীন, জিন্নাহ চৌধুরী, জেবারুত সাফিনা, জেসমিন জেসী, জুবাইর জসীম, জোনাকি দত্ত, ডি কে বড়ুয়া, তটিনী বড়ুয়া, তসলিম খাঁ, তহুরা পিংকি, তানভীর হাসান বিপ্লব, তারিফা হায়দার, তাহেরা বেগম, তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী, নবারুণ কান্তি বড়ুয়া, নাজনীন লাকী, নাটু বিকাশ বড়ুয়া, নাসের রহমান, নিগার সুলতানা, নীল রতন দাশগুপ্ত, নুরনাহার ডলি, পিংকু দাশ, পীযুষ কান্তি বড়ুয়া, পুষ্পিতা সেন, প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রদ্যোত কুমার বড়ুয়া, ফারজানা রহমান শিমু, ফারহানা ইসলাম রুহী, বাসুদেব খাস্তগীর, বিকিরণ বড়ুয়া, বিচিত্রা সেন, বিদ্যুৎ কুমার দাশ, বিপ্লব বড়ুয়া, মৃণালিনী চক্রবর্তী, রফিক তালুকদার, রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, রায়হানা হাসিব, রেহেনা মাহমুদ, শরণংকর বড়ুয়া। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।