ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই, বরিশাল–১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর মেজ ছেলে সেরনিয়াবাত মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল শনিবার ভোরে ঢাকার গুলশান–২ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ডিএমপির পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে বরিশালে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনসহ পেনাল কোডের বিভিন্ন ধারায় মামলা রয়েছে। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো তাৎক্ষণিকভাবে তিনি তা জানাতে পারেননি।
কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক মঈনউদ্দীনের ভাই সাদিক আবদুল্লাহ ২০১৮ সালে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র হয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৪ আগস্ট বরিশালে যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্। আগুনে পুড়ে যাওয়া নিজের বাড়ি দেখে এবং মায়ের কবর জিয়ারত করে তিনি আবার ঢাকায় ফেরেন। তখন তার সঙ্গে ছিলেন অন্তর্র্বর্তী স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের ছেলে মুয়াজ আরিফ।
সরকার পতনের দিন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বাসভবনে আগুন দেন বিক্ষুব্ধরা। পরে রাতে ওই বাসা থেকে ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাজী নইমুল হোসেন লিটুসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বঙ্গবন্ধুর ভাগনে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহসহ তার পরিবারের ৭ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা পরিবারের বাকি সদস্যরা হলেন– হাসানাত আবদুল্লাহর প্রয়াত স্ত্রী সাহান আরা আবদুল্লাহ, হাসানাতের তিন ছেলে– সাদিক আবদুল্লাহ, মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ও আশিক আবদুল্লাহ; সাদিকের সহধর্মিণী লিপি আব্দুল্লাহ ও তাদের পরিবারের আরেক সদস্য ফিরোজা সুলতানা।