ঢাকায় মিছিল, হিজবুত তাহরীরের ২ সদস্য গ্রেপ্তার

| শনিবার , ২৬ অক্টোবর, ২০২৪ at ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ

ঢাকায় হিযবুত তাহরীরের মিছিলের ঘটনায় শাহবাগ থানার মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠনটির দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে তুরাগ থেকে তাদের গ্রেপ্তারের তথ্য এক বার্তায় জানিয়েছে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ।

পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলম ও ফরহাদ হোসেনকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মিছিলের ভিডিওতে দেখা গেছে। সেদিন ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে সংগঠনটি মিছিল করে। পরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে শাহবাগ থানায় মামলা হয়। মামলাটিতে হিযবুত তাহরীরের গণমাধ্যম বিষয়ক সমন্বয়কারী ইমতিয়াজ সেলিম, সদস্য মো. মঈন ও মো. জাকারিয়াসহ পাঁচছয় হাজার আসামি করা হয়। গেল ৪ অক্টোবর ইমতিয়াজ সেলিমও গ্রেপ্তার হয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।

মামলায় অভিযোগে বলা হয়, বর্তমান শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে হিযবুত তাহরীরের অধীনে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মিছিল ও সমাবেশ করে সংগঠনটির নেতাকর্মী ও সদস্যরা। ঘটনার দিন তারা পুলিশি বাধা অতিক্রম করে পল্টন থেকে মিছিল নিয়ে উচ্চ আদলতের দিকে যেতে থাকেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হলে তারা দ্রুত বায়তুল মোকাররম মসজিদের দিকে গিয়ে পালিয়ে যান।

দীর্ঘদিন ধরে গোপনে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসা হিযবুত তাহরীর ফের আলোচনায় আসে গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর। সরকার পতনের আন্দোলনেও তারা অংশ নিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন সংগঠনটির মিডিয়া সমন্বয়ক ইমতিয়াজ সেলিম। কিছুদিন আগে বিবিসি বাংলাদেশকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সরকার পতন আন্দোলনে শুরু থেকেই তাদের কর্মীরা অংশ নেন। তবে তারা কোনো ব্যানার ব্যবহার করেননি।

গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিনই ঢাকায় মিছিল করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এরপর আরও নানা দাবিতে মিছিলের পাশাপাশি ঢাকায় গোলটেবিল বৈঠকও করেছে সংগঠনটি। চট্টগ্রামেও পালন করেছে নানা কর্মসূচি। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তার স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য ‘দীপ্ত শপথ’ গুঁড়িয়ে হিযবুত তাহরীরের পোস্টারও লাগানো হয়েছিল। গত ৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন করার কথাও জানিয়েছে সংগঠনটি। তবে সরকারের তরফে কোনো বক্তব্য আসেনি। গত ২৮ সেপ্টেম্বর হিযবুত তাহরীরকে ‘জঙ্গি’ উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলাম।

হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে ২০০১ সালে। এর নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএর একজন শিক্ষক। ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সরকার প্রেসনোট জারি করে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
পরবর্তী নিবন্ধলাল হলুদ আর বেগুনি ফুলে রঙিন সড়কদ্বীপ