৮ দফা দাবি আদায়ে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা

লালদীঘি মাঠে সনাতন জাগরণ মঞ্চের গণসমাবেশ

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৬ অক্টোবর, ২০২৪ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

নগরীর লালদীঘি মাঠে আট দফা দাবিতে গণসমাবেশ করেছে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। গতকাল শুক্রবার গণসমাবেশ থেকে বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে সমাবেশ শেষে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা দেওয়া হয়। বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী এ ঘোষণা দেন। এর আগে গণসমাবেশে চট্টগ্রাম শহর ও বিভিন্ন উপজেলা, কক্সবাজার এবং তিন পার্বত্য জেলা থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। এতে গণসমাবেশস্থল কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে। অংশ নেয়া সনাতনীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে এবং গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারীর সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বক্তব্য দেন, শংকর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ তপনান্দ গিরি মহারাজ, পটিয়া পাঁচরিয়া তপোবন আশ্রমের অধ্যক্ষ রবীশ্বরানন্দ পুরী মহারাজ, ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারী, বাঁশখালী ঋষিধামের মোহন্ত সচিদানন্দ পুরী মহারাজ, মুরারী দাস বাবাজী, তপোবন আশ্রমের অধ্যক্ষ প্রাঞ্জলানন্দ পুরী মহারাজ প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে সনাতনীরা শুধু অবহেলিত ছিল। সরকার আসে সরকার যায়। কিন্তু সনাতনীদের ভাগ্য বদলায় না। যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তারা সনাতনীদের দুঃখ দুর্দশাকে লুকানোর চেষ্টা করে। সনাতনীদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়, নির্যাতন লুকিয়ে স্বাভাবিকতার কথা বলে। গত ৫৩ বছরে এদেশে হওয়া হিন্দু নির্যাতন, খুনের কোনো বিচার হয়নি। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে অপরাধীরা বারবার এই ধরনের ঘটনায় উৎসাহিত হয়েছে। প্রতিবার ভোট পরবর্তী বা ক্ষমতার পালাবদলের সময় নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে হিন্দুদের ওপর। সেটা কেন হবে? কারা দোষী? কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত? তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হলে তো বেরিয়ে আসবে কারা সামপ্রদায়িক ঘটনার সঙ্গে জড়িত? কেন সরকার সামপ্রদায়িক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করছে না। বক্তারা আরো বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারকে আমরা ধন্যবাদ দিতে চাই। তারা দুর্গাপূজায় ১ দিন ছুটি বাড়িয়েছে। তবে সেটি পর্যাপ্ত নয়। এই সরকার যদি সনাতনীদের ৮ দফা মেনে নেয়, তবে সনাতনীরা আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন গণজাগরণ মঞ্চের ৮ দফা দাবিগুলো হলোসংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শান্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্থদের যথাপোযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রনয়ন করতে হবে। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে। হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে ইত্যাদি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাবারের টেন্ডার পেতে হুমকি, বিএনপি নেতা বহিষ্কার
পরবর্তী নিবন্ধপটিয়ায় দুই ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে