জুম্‌’আর খুতবা

কুরআন ও হাদীসের আলোকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র প্রতি অবমাননাকারীদের শাস্তির বিধান

অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলিম রিজভি | শুক্রবার , ২৫ অক্টোবর, ২০২৪ at ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ

পবিত্র কুরআনের আলোকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র প্রতি সম্মান করা ফরজ: প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা! আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করুন। তাঁর প্রিয় হাবীব সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করুন, খোদার ভাষায় নবীর সুমহান মর্যাদার বর্ণনা অনুধাবন করুন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সম্মান করা ফরজ। পবিত্র কুরআনের অসংখ্য আয়াতে আল্লাহ তা’আলার তাঁর প্রিয় নবীর সম্মান মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রসঙ্গে আলোকপাত করেছেন, এরশাদ করেছেন, “যাতে (হে লোকেরা) তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনো, এবং রাসূলের মহত্ত বর্ণনা ও তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করো। (সূরা: ফাতাহ, আয়াত: ০৯)

বর্ণিত আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীরকার মুবাররদ (রহ.) বলেন, তোমরা আল্লাহর হাবীবের প্রতি অধিক পরিমাণ সম্মান প্রদর্শন করো। (আল শিফা, পৃ: ২৬০)

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র প্রতি অবমাননাকারীদের পরিণতি: মু’মিনদের ঈমানের প্রাণস্পন্দন যাঁর প্রতি প্রাণধিক ভালোবাসা প্রদর্শন ঈমানের পরিচায়ক ও মু’মিনের নিদর্শন তাঁকে কষ্ট দেয়া, তাঁর প্রতি কটুক্তিকর অশালীন মন্তব্য করা, ধৃষ্টতা প্রদর্শন করা, তাঁর শানে অরুচিকর অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার করা, তাঁর শান মান খাটো করার অপচেষ্টা চালানো সম্পূর্ণরূপে কুফরী হারাম ও অমার্জনীয় অপরাধ। লিখনীর মাধ্যমে বক্তব্যের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে তাঁকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে তাঁর প্রতি কটুক্তি করা নবীজিকে কষ্ট দেওয়ার শামিল। যে অপরাধের ক্ষমা নেই। এ শ্রেণির হতভাগা লোকেরা ইহকাল পরকালে হবে চরমভাবে লাঞ্চিত, জাহান্নামের প্রজ্বলিত অগ্নিতে হবে নিক্ষিপ্ত। আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, “নিশ্চয় যারা কষ্ট দেয় আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে তাদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত দুনিয়া ও আখিরাতে এবং আল্লাহ তাদের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন। (সূরা: আহযাব, ৩৩:৫৭)

আল্লাহ তা’আলা আরো এরশাদ করেছেন আর যারা আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয় তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি। (সূরা: তাওবা, :৬১)

হাদীস শরীফের আলোকে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র অবমাননাকারী গাল মন্দকারীদের শাস্তির বিধান: ইসলাম শান্তির ধর্ম, সম্প্রীতির ধর্ম, যেখানে শান্তি সেখানে কল্যাণ, যেখানে অশান্তি সেখানে অকল্যাণ। আজকের পৃথিবীতে এক শ্রেণির উগ্রবাদী নবীদ্রোহী কুলাঙ্গাররা কখনো ইসলামের বিরুদ্ধে কখনো কুরআনের বিরুদ্ধে কখনো ইসলামের নবী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম আদর্শ মানবতার নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র সুমহান মর্যাদা ও সম্মানের বিরুদ্ধে অবমাননাকর উক্তি করে পৃথিবীকে অশান্ত করে যাচ্ছে। শান্তি শৃঙ্খলা রাষ্ট্রীয় সংহতি ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিরি সৃষ্টি করে বিশ্বকে অশান্ত করে তুলছে। তারা মানবতার শত্রু, ইসলামের শত্রু। ইসলামের নবীর সুমহান চরিত্রে কালিমা লেপন করার কারণে নবীর শানে ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তির কারণে পৃথিবীতে তাদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। ইসলামের দৃষ্টিতে তাদের চূড়ান্ত শান্তি মৃত্যুদন্ড। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা সুস্পষ্ট, রাষ্ট্রের শাসক এ শাস্তি কার্যকর করবে। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন যে ব্যক্তি সম্মনিত নবীর প্রতি গালমন্দ করবে তাকে হত্যা করা হবে। আর যে ব্যক্তি তাঁর সাহাবাদের প্রতি গালমন্দ করবে তাকে বেত্রাঘাত করা হবে। (আল জামিউস সগীর, হাদীস নং: ৮৭৩৫)

নবীর প্রতি গালমন্দ কারীকে হত্যা প্রসঙ্গে হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.)’র নির্দেশনা: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি বিরূপ মন্তব্যকারী, অবমাননাকারীর শাস্তি বিষয়ে সাহাবায়ে কেরাম ছিলেন আপোষহীন, নবীর সম্মান ও মর্যাদা সুরক্ষায় তাঁরা নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করতে প্রস্তুত ছিলেন, কাফির মুশরিক ও মুনাফিকদের পক্ষ থেকে নবীজির প্রতি সামান্যতম কটুক্তিও তাঁরা সহ্য করেননি। তাঁদের জীবন ও অস্তিত্ব জুড়ে ছিলো নবীজির প্রতি অনন্য ভালোবাসার অনুপম দৃষ্টান্ত।

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম’র শানে অবমাননাকারীদের হত্যার নির্দেশ: মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৯ জন বড় বড় ইসলামের দুশমন, নবীর শানে অবমাননাকারীদের হত্যার আদেশ দেন যদিও তারা কা’বা ঘরের গিলাফের ভেতরে আশ্রয় নিয়েছিল, আল্লাহর লানত প্রাপ্ত ঐসব কুলাঙ্গাররা হলো:

. আবদুল উয্‌যা ইবনে খাতাল, . আবদুল্লাহ ইবনে সাদ ইবনে আবী সারাহ, . ইকরামা ইবনে আবু জেহেল, . হারিস ইবনে নুফাইল ইবনে ওহাব, . মুকীস ইবনে সাবাবাহ, . হাব্বার ইবনে আসওয়াদ, . ইবনে খাতাল, . ইবনে খাতালের দুই দাসী, . আবুদল মুত্তালিবের সন্তানদের মধ্যকার কারো দাসী সারাহ। (উসওয়াতুন হাসানাহ, পৃ: ২৯১)

হাদীস শরীফে আরো এরশাদ হয়েছে, হযরত সাদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চারজন পুরুষ ও দুজন মহিলা ব্যতীত সকল মানুষকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তাদের ব্যাপারে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওযাসাল্লাম এরশাদ করেছেন, তাদের তোমরা হত্যা করো, যদিও তারা কা’বার গিলাফের নীচে থাকে। তারা হলো ইকরামা ইবন আবু জেহেল, আবদুল্লাহ ইবন খাতাল, মুকিস ইবন সাবাবা ও আবুদল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবি সারাহ। (ইমাম নাসাঈ, হাদীস: ৪০৭৩)

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লামা’র প্রতি অবমাননাকারীদের শাস্তির ব্যাপারে মুজতাহিদ ইমামগণের অভিমত: ইসলামী আইন বেত্তা হযরত ইমাম মুহাম্মদ ইবন সাহনুন (রহ.) বর্ণনা করেন, হযরত মুহাম্মদ ইবন সাহনুন (রহ.) বলেন, ওলামায়ে কেরামের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হলো, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি অসম্মানকারী এবং তাঁর শানে অবমাননাকারী কাফির। তার জন্য আল্লাহর শাস্তি কার্যকর করা হবে। তাঁর বিষয়ে উম্মতের ঐক্যমত হলো তাঁকে হত্যা করা হবে। যে ব্যক্তি তার কুফরি ও শাস্তির বিষয়ে সন্দেহ করবে সেও কাফির হিসেবে গণ্য হবে। (ইমাম কাযী আয়াজ, আশশিফা, পৃ: ৪০৫, ফাতহুল বারী, /১১১২ পৃ🙂

ইসলামী বিশ্বের সর্বত্র সমাদৃত বিশুদ্ধ হাদীস গ্রন্থ বুখারী শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ “ফাতহুল বারীতে” আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী বর্ণনা করেন, ইমাম ইবন মুনযির থেকে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি প্রকাশ্যে সুস্পষ্টভাবে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র প্রতি গালমন্দ করল তাকে হত্যার ব্যাপারে উম্মতের ওলামারা সর্বসম্মত ভাবে ঐক্যমত পোষন করেছেন। (ফাতহুলবারী, :১২, পৃ: ২৮১)

হানফী মাযহাবে প্রসিদ্ধ ফাতওয়াগ্রন্থ “ক্বাযী খান” এ নবী দ্রোহীদের শাস্তির বিধান বলা হয়েছে, যদি কেউ কোন বিষয়ে বিন্দুমাত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দোষ বর্ণনা বা সমালোচনা বা তাকে কলংক যুক্ত করল সে কাফির হয়ে যাবে, হযরত আবু হাফস কবীর হতে বর্ণিত আছে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র চুল মুবারক হতেও কোন একটি কে কলংকময় করলে কাফির হবে। মবসুত কিতাবে আছে, হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওযাসাল্লামকে মন্দ বলা কুফরী। তাফসীরে সাবীতে উল্লেখ হয়েছে, যে কেউ হুযুর নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে সামান্যতম তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করল সে ইহকাল ও পরকালে কাফির ও অভিশপ্ত।

নবীদ্রোহী আবদুল্লাহ বিন খাতাল’র করুণ পরিণতি: অষ্টম হিজরিতে মক্কা বিজয় হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কার সবাইকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষনা করে কিন্তু কয়েক জন দুশমনকে রাসূলকে ক্ষমা করেন নি, তাদের অপরাধ ছিল অমার্জনীয়। ক্ষমার উর্ধ্বে। বেশির ভাগই ছিল শাতিমে রাসূল। নবীজির শানে কটুক্তিকারী। এদের ব্যাপারে নবীজি আদেশ দিয়েছিলেন, এদেরকে যেখানে পাওয়া যাবে হত্যা করতে হবে। তারা কাবার গিলাফের নীচে আশ্রয় নিলেও তাঁদের ক্ষমা করা হবেনা, তাদের একজন ছিল আবদুল্লাহ ইবনে খাতাল। জাহিলি যুগ থেকে হারাম শরিফে কোনো অপরাধীকে হত্যা করা হতোনা, তবে আল্লাহর প্রিয় হাবীবের অপমান ও অবমাননা তিনি সহ্য করতে পারেননা, কাবার মালিকের পরম বন্ধুর খাতিরে নিয়ম পাল্টে গেল লোকজন এসে অভিযোগ করল ইয়া রাসূলাল্লাহ ইবনে খাতাল কাবার গিলাফের নীচে লুকিয়ে প্রাণ রক্ষা করতে চাচ্ছে, নবীজি নির্দেশ দিলেন তাকে হত্যা করো, নবীজির নির্দেশ লাভ করে হযরত আবু বারজা আসলামী (রা.) আবদুল্লাহ ইবনে খাতালকে কাবার গিলাফের নীচ থেকে টেনে বের করে আনলেন এরপর মকামে ইবরাহীম ও রুকনে ইয়ামানির মাঝখানে দাড়িঁয়ে তার পেটে তলোয়ার ঢুকিয়ে ১ কোপে ঘাড় থেকে মস্তক বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন। (আসসারিমুল মাসলুল আলা শাতিমির রাসুল, পৃ: ১০৭, কৃত: হাফিজ ইবনে তাইমিয়া)

রাসূলুল্লাহর প্রতি যুগে যুগে যারা কটাক্ষ করেছে মানহানি কটুক্তি ও অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছে ও মন্তব্য করেছে, তারা অত্যন্ত ঘৃণিত ও অভিশপ্ত, যারাই নবীজির শানে অবমাননা করেছে সকলে দুনিয়াতেই ভয়ংকর পরিণতির শিকার হয়েছে কেউ হত্যার শিকার হয়েছে কেউ জটিল কঠিন রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে।

আল্লাহ তা’আলা তাঁর হাবীবের অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাওফিক নসীব করুন।

লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসাএ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী), বন্দর, চট্টগ্রাম; খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।

মুহাম্মদ আবদুল মাজেদ

বুড়িশ্চর, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

প্রশ্ন: টেবিলে বা অন্য কোথাও ধর্মীয় কিতাব রাখার ক্ষেত্রে শরয়ী নিয়ম সম্পর্কে জানালে কৃতার্থ হবো।

উত্তর: মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় কিতাব মহাগ্রন্থ “আল কুরআনুল করীম”। সবার উপরে কুরআন মজীদ রাখতে হবে, এর নীচে তাফসীরের কিতাব এর নিচে হাদীস শরীফের কিতাব এর নিচে ফিক্‌হ বিষয়ক কিতাবাদি, এর নিচে অন্যান্য আরবি কিতাব ইসলামি গ্রন্থাবলি রাখা বাঞ্চনীয় (বাহারে শরীয়ত, খন্ড: ১ম, পৃ: ৩২৭)

কিতাবের উপর অন্য কোনো জিনিস রাখা যাবেনা। যে সিন্দুক বা আলমারিতে কিতাব রাখা হয়েছে তার উপরেও কোনো কিছু রাখা যাবেনা। ধর্মীয় কিতাবের পৃষ্ঠা দিয়ে প্যাকেট বা ঠোঙ্গা বানানো নিষেধ। বিশেষ করে আরবি বর্ণমালা বা লেখামালার প্রতি সম্মান ও আদব রক্ষা করা উচিত। আরবি বর্ণ মালার সম্মান ও গুরুত্ব এতটাই বেশি যে, অযু বিহীন কোরআন শরীফ বা কুরআন শরীফের কোন আয়াত স্পর্শ করা হারাম। (বাহারে শরীয়ত, খন্ড:১ম, পৃ: ৩২৬)

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাজার-খানকাহ্‌ : ইসলামের ঐতিহ্য ও মানবকল্যাণের কারখানা
পরবর্তী নিবন্ধবোয়ালখালীতে ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ