হে বাঁশি! হে বাঁশি! ওহে বাঁশি!
সুর করে মোরে ডেকোনা বিহনে
আজি এই বসস্তের সময়ে তুমি চুপ কেন রইলারে
তোমায় বিনে বাঁশির সুর উঠে না বিরহের অন্তরে।
আজি এই সুরের বিহনে বসন্তের সুখে তুমি
যাও কোথায় আমায় ভুলে, এত অভিমানে?
সুখের দরজাটা খোলা ছিল সেথায় তুমি আসবে বলে
বাঁশিটাকে রেখেছি যতনে সুরের মোহনায় তোমায় ভুলে।
আজ এতো কেন আমার উপর অভিমান করে
কোথায় যাবে আর যেখানে যাবে
তুমি বিরহের সুরের সেখানেও
বসন্তের ফুলের সুভাসে আমায় পাবে।
হে বাঁশি! হে বাঁশি! ওহে বাঁশি শোন না!
বিরহের ব্যথায় চুপ থেকে
তুমি শান্তি পাবে না তা জানি আর বুঝি
আমার অন্তরের খেয়ালের মধ্যেও তোমার সুর বাঁশিনি
বন্ধতো রাখতে আমি কখনো চাইনি বা রাখিনি।
বসন্তের আগমনেও কেমনে তুমি ঘোমটা
মেরে মেরে চুপ থাকবে আজি
কিন্তু আমার নজর তোমার উপর সদা
সুরের তাল–লয়ে কেমনে আজ বাঁচি সেথা।
তোমার বাঁশির সুরের আমার মধুর স্মৃতিগুলো
যতনে অন্তরে থাকিবে আজীবন
তোমার কাজল–কালো চোখের পাতা
জাগিয়ে তোলে আমার এ মনে প্রেমের উষ্ণতা।
হে বাঁশি! হে বাঁশি! ওহে বাঁশি! বিরহের বাঁশি।