বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, পুঁজিবাজারের যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলো সমাধান করতে হবে। তবে তা হয়ত দ্রুত সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সংস্কার করতে হবে। এই সংস্কার কাজ আবার একা করা সম্ভব নয়। সেজন্য সবার মতামত নেয়া হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে আইন ও নিয়মের মধ্যে থেকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এই সংস্কার সম্পন্ন করা হবে।
গতকাল আগ্রাবাদের চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির (সিএসই) প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা পুঁজিবাজারের গতিতে হাত দিতে চাই না। বাজারে তারল্য বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নতুন করে পুঁজিবাজার গঠনে প্রয়োজনীয় কাজগুলো এগিয়ে নিতে হবে। তিনি সিএসইর নতুন পর্ষদের কাছে সব ধরনের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন যেন পুঁজিবাজার তার নিজস্ব গতিতে চলতে পারে।
সিএসইর নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান বলেন, সিএসই সবসময়ই নতুন কিছু করতে অগ্রণী। ইতোমধ্যে কমোডিটি এঙচেঞ্জ স্থাপনের কাজও করছে। যা হবে বাংলাদেশের জন্য প্রথম। নবগঠিত বোর্ড পুঁজিবাজারের উন্নয়ন, পরিমার্জন, আধুনিকীকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট দীর্ঘমেয়াদী, স্বল্পমেয়াদী সব ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে সার্বিকভাবে পুঁজিবাজারকে গতিশীল ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য বিএসইসি এবং সিএসই সমন্বিতভাবে কাজ করবে।
সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, পুঁজিবাজারের জন্য নতুন নতুন প্রোডাক্ট যেমন কমোডিটি ডেরিবেটিভস, ওপেন এন্ড মিউচুয়াল ফান্ডের অটোমেশন, ইকুইটি ডেরিবেটিভস, ইসলামিক ক্যাপিটাল মার্কেট, অফ আওয়ার ট্রেডিং, জি–সিকিউরিটিজ ট্রেডিং মতো আধুনিক প্রোডাক্টের দ্রুত ব্যবস্থা করা দরকার, যা পুঁজিবাজারকে গতিশীল আর বৈচিত্র্যময় করবে। এছাড়াও সিএসইর কমোডিটি প্রজেক্টের অগ্রগতি সম্বন্ধে বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং এর সার্বিক সফলতার জন্য কমিশনের সহযোগিতার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় বিএসইসি’র কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, মো. আলি আকবর, ফারজানা লালারুখ, নির্বাহী পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম, মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পরিচালক মো. মনসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
