২০২৯ সালে শেষ হবে মাতারবাড়ি বন্দরের প্রথম ধাপের কাজ

মহেশখালীর প্রকল্প পরিদর্শনে উপদেষ্টা সাখাওয়াত বন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে

মহেশখালী ও কক্সবাজার প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২২ অক্টোবর, ২০২৪ at ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) . এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আগামী ২০২৯ সালে শেষ হবে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের ১ম ধাপের কাজ। তিনি গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন।

এ উপলক্ষে জাইকার ব্যবস্থাপনায় গতকাল সকাল ১১টায় কোলপাওয়ারের প্রশাসনিক সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় জাইকার প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, সড়ক ও সওজসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তাদের সাথে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প ও গভীর সমুদ্র বন্দরের বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও। আলোচনা সভায় জাইকার প্রতিনিধি সাতো ২০২৯ সালের মধ্যে প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দরের ১ম ধাপের কাজ সম্পন্ন হবে উপদেষ্টাকে আশ্বাস দেন। এ সময় গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রকৌশলীরা উপদেষ্টাকে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের উন্নয়ন কাজ ও পরিকল্পনা সম্পর্কে ভিডিও প্রজেক্টরের মাধ্যমে অবহিত করেন।

বন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হবে : গতকাল বিকেলে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে কক্সবাজারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত হন এম সাখাওয়াত হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, প্রস্তাবিত মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। কারণ বঙ্গোপসাগরের এই অঞ্চল ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ অতীতে এখানে নিরাপত্তা ইস্যুকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। বঙ্গোপসাগরের নিরাপত্তা ইস্যুটা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। তাই মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার পাশাপাশি বহিঃনিরাপত্তাও দরকার। উপদেষ্টা বলেন, বিশাল সাগরে এই বন্দরের সক্ষমতা অনেক বেশি। সাগরে অনেকের যাতায়াত। তাই বন্দরের ভেতরে বাইরের নিরাপত্তার কথা ভাবা হচ্ছে। ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, দেশে ৭টি লাইট হাউজের নির্মাণ কাজ চলছে। এগুলোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। লাইট হাউসগুলো চালু হলে সমুদ্রগামী জাহাজ চলাচলে সুফল পাওয়া যাবে।

আরাকানে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে নাফ নদী হয়ে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, আরাকান অঞ্চলে এখনো যুদ্ধ চলমান। একারণে নাফ নদী এখনো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে আরাকানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে। ততদিন পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিকল্প পথে জাহাজ চলাচল করতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনুরুল ইসলাম বিএসসি ও তার স্ত্রীর ফ্ল্যাট হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা
পরবর্তী নিবন্ধহোটেলে খুন হওয়া নারীর পরিচয় মিলেছে