ঘরের মাঠে নতুন মিশন

বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্ট শুরু আজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোমবার , ২১ অক্টোবর, ২০২৪ at ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ

গত চারটি টেস্ট অম্লমধুর কেটেছে বাংলাদেশের। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্টে জয়ের পর ভারতের কাছে হেরেছে দুই টেস্টে। তবে সে চারটি টেস্টই ছিল প্রতিপক্ষের মাঠে। এবার নিজেদের মাঠে নামছে বাংলাদেশ। চেনা কন্ডিশন, পরিচিত উইকেট, প্রতিপক্ষও বেশ ভালভাবে চেনা। কিন্তু মিশনটা নতুন। আগের চারটি টেস্টেই ছিলেন সাকিব। এবার তিনি নেই। তবে দলে না থাকলেও সাকিব প্রতিনিয়তই রয়েছে আলোচনায়। গতকালও যেমন সাকিবের পক্ষে এবং বিপক্ষে মিছিল হয়েছে, মারামারি হয়েছে, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। তারপরও বাংলাদেশ দল নিজেদের রাখছে ক্রিকেটের মধ্যেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচ দিয়ে জয়ের ধারায় ফেরার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। এবারের বাংলাদেশ সফরে আসা দক্ষিণ আফ্রিকার দলটি অনেরকটাই অনভিজ্ঞ। দলটির কারোরই বাংলাদেশের মাটিতে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তাই এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ দল। যদিও দলটি অনভিজ্ঞ হলেও তারা বেশ ভাল দল বলে মনে করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তারপরও নিজেদের মাঠের সুবিধাটাকে কাজে লাগিয়ে জয় দিয়ে সিরিজ শুরুরও প্রত্যয় টাইগার শিবিরে।

২০১৫ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশে সফরে খেলা দু’টি টেস্টই ড্র করেছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টি এবং বৈরি আবহাওয়ার কারণে সমতায় সিরিজ শেষ করেছিলো দু’দল। এরপর থেকে ঘরের মাঠে শক্তিশালী দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। পরবর্তীতে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মতো বড়বড় দলের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছে টাইগাররা। তবে নয় বছর পর বাংলাদেশ সফরে আসা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেমন করে টাইগাররা সেটাই এখন দেখার। একদিকে সামপ্রতিক ঘরের মাঠে বাংলাদেশ দলের সাফল্য আর অন্যদিকে গত ১০ বছরে উপমহাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো টেস্ট জিততে না পারা সাহস যোগাচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও তেমন সুযোগ দেখছেন। ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় নিজেদের সামনে বেশ ভাল সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন অভিজ্ঞ না হলেও দক্ষিণ আফ্রিকা খুবই ভালো দল । আমরা পাকিস্তানে ভালো করেছি। কিন্তু ভারতে ভালো করতে পারিনি। তারপরও আমি মনে করি আমাদের টেস্ট দল ভালো অবস্থায় আছে।

মিরপুরের পিচ সবসময়ই স্পিনারদের পক্ষে থাকে। তাই স্পিন সহায়ক উইকেটে বাংলাদেশের স্পিনারদের সামলাতে সব সময়ই হিমশিম খেতে হয় উপমহাদেশের বাইরের দলগুলোকে। এছাড়া কখনওই স্পিনারদের ভাল খেলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও তাদেরও এখন বেশ ভাল স্পিনার রয়েছে। তারপরও স্পিন দিয়েই প্রোটিয়াদের ঘায়েল করার ছক কষছেন টাইগার অধিনায়ক। দলটির নিয়মিত অধিনায়ক টেন্ডা ভাবুমা খেলতে না পারাটও বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির। চন্দিকা হাথুরুসিংহের যুগের অবসানের পর নতুন কোচ ফিল সিমন্সের নতুন যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। তাই শুরুটাও যেন নতুন হয় সে প্রত্যাশা টাইগার শিবিরে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপতেঙ্গায় আ. লীগ নেতা মধু আলমগীর গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধমিরপুরে সাকিবের পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল, ধাওয়া, মারামারি