কক্সবাজারের চকরিয়ায় ২০১৩ সালে কাকারায় বিএনপির মিছিলে গুলি করা, সেই গুলিতে মিজানুর রহমান নামের এক কিশোর নিহতের ঘটনায় প্রায় ১১ বছর পর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে মিজানুর রহমানের পিতা মোহাম্মদ শাহ আলম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় এই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় কক্সবাজার–১ (চকরিয়া–পেকুয়া) আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, সাবেক পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, দলীয় চেয়ারম্যান সুরাজপুর–মানিকপুরের আজিমুল হক আজিম, ফাঁসিয়াখালীর হেলাল উদ্দিন, ডুলাহাজারার হাসানুল ইসলাম আদর, বিএমচরের বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক চেয়ারম্যান বদিউল আলম, লক্ষ্যারচরের খ ম বুলেট, সাহারবিলের নবী হোছাইন, কাকারার সাবেক চেয়ারম্যান শওকত ওসমান, পেকুয়া টৈটংয়ের জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলামসহ ১৭৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। তদ্মধ্যে ১২৮ জনের নাম উল্লেখ এবং বাকি ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে। মামলা রুজু হওয়ার খবরে চকরিয়া ও পেকুয়ার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ঘরছাড়া হয়ে পড়েছেন। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর বিকেল ৩টার দিকে চকরিয়া পৌরশহরে বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিতে কাকারা ও সুরাজপুর–মানিকপুর ইউনিয়নের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনসাধারণ চকরিয়া পৌরশহরের দিকে রওয়ানা দেয়। মিছিলটি কাকারা ইউনিয়নের পুলেরছড়া এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে রাইফেল ও বন্দুক নিয়ে গুলি করতে থাকে। তাদের ছোঁড়া গুলিতে মিজানুর রহমান নামের এক কিশোর নিহত হয়। এসময় আহত হন ১৯ জন নেতাকর্মী।
মামলা রুজু হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ২০১৩ সালে মিজানুর রহমান হত্যার ঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে।