জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করলেও দলটি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হয়ে যুদ্ধে অংশ নেয়নি বলে দাবি করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ। গতকাল শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন যমুনায় সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই মন্তব্য করেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদেরকে যেভাবে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতাদেরকেও একই সাজা দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে ক্ষমতাচ্যুত দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবিও তুলে ধরেছেন। খবর বিডিনিউজের।
সরকারকে কী বলেছেন, এই প্রশ্নে তিনি বলেন, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে জামায়াত নেতাদের তো ফাঁসি হয়েছে। এখন ওদেরকে (আওয়ামী লীগ) ফাঁসি দিতে হবে। জামায়াতকে তো ফাঁসি দিয়েছেন, এখন আওয়ামী লীগকে ফাঁসি দেন। এটা আপনাদের দায়িত্ব।
অলি বলেন, আমরা মনে করি, ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তারা পাকিস্তানের হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে নাই। সেদিন আমরা তাদেরকে নিষিদ্ধ করেছিলাম, তাহলে আজকে কী কারণে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে না? আমরা আজকে আবার বলেছি, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তারা ১৮ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। তাদের এখানে রাজনীতি করার অধিকার নেই। তারা সবাইকে ব্যবহার করেছে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা সবকিছু করেছে। শেষ পর্যন্ত তারা জনতার চাপে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের যারা সমর্থক ছিল, যারা শেখ হাসিনাকে এখনো সাহায্য করছে, তারা চিহ্নিত ব্যক্তি। ২০১৮ সালে যে বা যারা রাত্রিকালীন নির্বাচনে জড়িত ছিল তাদেরকে সরকার থেকে বের করে দিতে হবে, ডিসমিস করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার, জনগণের লুট করা টাকা ফেরত আনা এবং সংস্কার প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করাসহ নানা বিষয়ে কথা বলার কথাও সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন এলডিপি প্রধান।