বান্দরবানে নীলাচল–টাইগারপাড়া–রুপালি ঝরনা সড়কটি সংস্কারের অভাবে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কটি সংস্কারে ভোগান্তি কমবে ভ্রমণ পিপাসুদের। পর্যটন শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বিকল্প সংযোগ সড়কটি। সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের কয়েকটি স্থানে ইটগুলো উঠে গেছে। বৃষ্টিতে রাস্তার দুপাশ ভেঙে মাটিসহ সড়কটি ধসে গেছে। সড়কটির শেষপ্রান্তে রুপালি ঝর্নার আগের ঢালুতে সড়কের ইটগুলো পুরোপুরি ভেঙে উঠে যাওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
প্রকৌশল বিভাগ ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, জেলার অন্যতম পর্যটন স্পট নীলাচল সড়কের টাইগারপাড়া রাস্তারমুখ থেকে দর্শনীয় স্থান রুপালি ঝরনা হয়ে বান্দরবান–চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের রেইছা এলাকায় সড়কটি যুক্ত হয়েছে। দীর্ঘ দশ বছরের অধিক সময় ধরে ইটের তৈরি সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কটি সংস্কার করা হয়নি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি প্রশস্তকরণ ও কার্পেটিং কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে দীর্ঘ পাঁচ বছরেও সড়কটি সংস্কারের টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দার অনন্ত চাকমা ও টাঙ্গুলী তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, নীলাচল সড়কের মুখ থেকে সহজেই রুপালি ঝরনা যাওয়া যায় টাইগারপাড়া অভ্যন্তরীণ সড়কপথে। আর চট্টগ্রাম সড়কের রেইছা থেকে রুপালি ঝরনা হয়ে অল্প সময়ে নীলাচল পর্যটন স্পটে পৌঁছানো যায় সড়কটি ব্যবহার করে। পর্যটকবাহী গাড়িগুলো সড়কটিতে বেশি চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে। সড়কটি সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে রুপালি ঝরনা ঢালুতে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
বোমাং সার্কেলের টাইগারপাড়া প্রধান (কার্বারী) ভিরু তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, টাইগারপাড়া হয়ে রেইছা–নীলাচল সংযোগ সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। সড়কটির দুপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকরা মুগ্ধ হবার মত। ইতিমধ্যে এ সড়কে পর্যটকদের সুবিধার্থে কয়েকটি আবাসিক রিসোর্ট গড়ে তোলার কাজ চলমান রয়েছে। ব্যক্তিমালিকাধীন অনেকগুলো ফলজ বাগান ও বাংলোবাড়িও রয়েছে অনেকের। সড়কটি সংস্কারে জরুরি ভিত্তিতে প্রদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. জিয়াউল ইসলাম মজুমদার জানান, গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়কটি পর্যটন বান্ধব একটি সড়কে উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছে এলজিইডি। ইতিমধ্যে সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কে উন্নয়ন কাজের প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। জেলার অন্যতম পর্যটন ম্পট নীলাচল ও রুপালি ঝরনার সংযোগ সড়কটির দুপাশেও পর্যটনের অনেক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যে। সড়কটি উন্নয়ন হলে স্থানীয়ভাবে পর্যটন শিল্পের আরও বিকাশ ঘটবে।